চাটমোহর প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতিমধ্যে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার কোরবানী পশুর হাটে বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া লালন-পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলার অন্যতম পশুর হাট অমৃতকুন্ডা হাট গতকাল রবিবার ঘুরে দেখা গেছে,কোরবানির পশু বেশি পরিমাণে উঠেছে এ হাটে। ক্রেতারা এখন শুধু দরদাম করছেন। এই সপ্তাহের শেষ দিকে হাটগুলোতে বেচাকেনা বাড়বে। তবে ক্রেতারা বলছেন,গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানী পশুর দাম বেশি। এখনো ক্রেতারা যাচাই-বাছাই পর্যায়ে আছেন। খামারীরা বলছেন,গোখাদ্যের দামের কারণে পশুর দামও বেড়েছে। তবে কোরবানী পশুর হাটে ইজারাদের লোকজন ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ।
কোরবানীকে সামনে রেখে চাটমোহরের গরু ও ছাগলের খামারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় অনেক খামারী এবার লোকসানে পড়তে পারেন। উপজেলার অমৃতকুন্ডা,নতুন বাজার পশুর হাট,ছাইকোলা,শরৎগঞ্জসহ অন্যান্য হাটে গরু-ছাগলের আমদানী বাড়ছে। বিক্রি হচ্ছে কম। বিক্রেতারা জানান,সপ্তাহের শেষে বেচাকেনা বাড়বে। রবিবার অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) হাটে গিয়ে দেখা গেল,গরুর আমদানী প্রচুর। তবে বেচাকেনা কম। ছাগলের আমদানীও বেড়েছে। ছাগলের আকারভেদে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ,হাটের ইজারাদারের লোকজন অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে কোন তৎপরতা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম জানান,কোরবানী হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।