পাবনার তরুন উদ্যোক্তা পড়শী কিচেনের স্বত্বাধিকারী সাদ হোসেন প্রীতম মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজশাহীর চারঘাটে এ দূর্ঘটনা ঘটে। মরহুমের নামাজে জানাযা আটুয়া ঈদগাহ মাঠে শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।
প্রীতমের বাসা শহরের আটুয়া মহল্লায়।বাবা সাদত হোসেন টনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। লাইব্রেরি বাজারস্থ পড়শী কনফেকশনারির স্বত্বাধিকারী।
মা সোনিয়া সাদত পপি।প্রীতমের দাদা পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এম এ মহিত।এক ভাই এক বোনের মধ্যেই তিনিই ছিলেন বড়।ছোট বোনটির নাম পড়শী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে প্রীতম ও তার বন্ধুরা মোটরসাইকেল সহযোগে রাজশাহী অভিমুখে রওয়ানা দেয়।পথিমধ্যে চারাঘাট নামক এলাকায় রাস্তায় টার্ন করার সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় এবং সম্ভবত কোন পোলে সজোরে ধাক্কা লাগে।এ সময়ে বাইকের পেছনে বসা প্রীতমের পা ও মাথা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।তাকে প্রথমে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত:পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রীতম প্রাণের অবসান হয়।
প্রীতমের মৃত্যুতে তার এলাকাসহ গোটা পাবনাতে শোকের ঢল নেমে আসে। সুদর্শন এই তরুণ বিনয়ী, ভদ্র ও অমায়িক আচরণের কারনে সমাজে সুপরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। ছাত্র অবস্থাতেই বিজনেস শুরু করেছিলেন।প্রীতম ও তার মায়ের হাতে গড়া পড়শী কিচেন নামে রেস্তোরাঁটি শহরে ইতিমধ্যে পরিচিত লাভ করেছিল।মা ও সন্তানের মেলবন্ধন ছিল চোখে পড়ার মতো।অনলাইন অর্ডারেও খাবার সরবরাহ করতো তারা।
তরুন প্রানের অকালমৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের জন্য গভীর শোক ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছেন সমাজের নানান শ্রেনীপেশার মানুষ। সেইসাথে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আর যেন না ঘটে সেই কামনাও করেছেন তারা।