ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবানার ভাঙ্গুড়ায় দুস্থ গোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচীর আওতায় কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ উঠেছে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান এর বিরুদ্ধে।
৩১ আগষ্ট শনিবার উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৩শতধিক দুস্থ’,অসহায় ভিজিডি কার্ডধারী মহিলারা তাদের সঞ্চয়ের মোট টাকা ফেরত পাবার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতি মাসে চাল নেওয়ার পূর্বে ২ শত টাকা করে ২৪ মাস সঞ্চয় জমা দিয়েছি। আমাদের জমানো টাকার সম্পুর্ণ ফেরত চাই। গরীবের টাকা আত্মসাৎ করা চলবে না বলে মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা স্লোগান দেয়।
এ সময় দূর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যানের অপসরনের দাবীকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন টুকি, মোঃ সাহেব আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ শরিফ উদ্দিন রিপন, আরিফুল ইসলাম, মোঃ শাহাবাজ, মোঃ আরজু খান, শহিদুল ইসলাম, মোছাঃ শেফালী, মোছাঃ বৃথি প্রমুখ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩শতধিক দুস্থ’, অসহায় ভিজিডি কার্ডধারী মহিলারা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৯টি ওয়ার্ড থেকে এসে মিলিত হয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করছে। ১নং ওয়ার্ডের শাহানাজ বেগম, ২নং ওয়ার্ডের গোলাপী খাতুন, ৩নং ওয়ার্ডের নাজমা খাতুন, ৪নং ওয়ার্ডের ডলি খাতুন সহ অন্যান্য ওয়ার্ডের মোছাঃ কাজলী, কামরুন্নাহার, মোমতা খাতুন, মিনাসহ একাধিন কার্ডধারী বলেন, আমরা অসহায় ,আমাদের জমানো টাকা ব্যাংকের একাউন্টে স্ব স্ব নামে জমা না দিয়ে দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান দেই-দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করছে। আমাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে বই নিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রতি মাসে ২শ টাকা করে ২ বছর টাকা জমা দিয়েছি। আমাদের কষ্টের টাকা পুরোটাই ফেরৎ চাই।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, দুস্থ গোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচীর আওতায় দিলপাশার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩‘শ ২৬ জন দুস্থ’, অসহায় ও সক্ষম মহিলাকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় ডার্চ বাংলা ব্যাংকে প্রতিমাসে উপকার ভোগীদের চাউল দেওয়ার আগে ২শত টাকা করে প্রত্যেকের স্ব স্ব নামের একাউন্টে জমা করার কথা থাকলেও তা জমা করেন নাই বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান ভিজিডি কার্ডধারীর টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তাদের সঞ্চয়ের টাকা স্থায়ী ডার্চ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে জমা আছে। নিজ নিজ ব্যাক্তি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা উত্তলোন করতে পারবেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোছাঃ মাহ্মুদা সুলতানা (অঃ দাঃ) বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক, কালেক্টর ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্টেট (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।