এম এ আলম রিপনঃ জনআকাঙ্খা বাস্তবায়নে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই,তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অতি দ্রুত নির্বাচনী সড়কে উঠতে হবে অন্তবর্তী সরকারকে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাপির তুহিন। শনিবার নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের সময় আমরা তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছি। কিন্তু পতিত সেই রাজনীতির ভিত্তি ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন। অন্যদিকে জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, আপনারা দেখতে পাবেন, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি। বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা। আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র ও অলিগার্ক শ্রেণী তৈরী হবে না, বিভাজন ও বৈষম্য থাকবে না, সমাজের প্রতিটি স্তরে দলীয়করণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় ঘটবে না। তিনি বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা ও বিচার, পরোয়ানা ছাড়াই গণগ্রেপ্তার এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে যে ভয়ের সংস্কৃতি গত ১৬ বছরে গড়ে উঠেছিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিএনপি সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সেটি নির্মূল করার জন্য। হাসান জাপির তুহিন বলেন, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সীমাহীন খুন, হামলা, ধর্ষণ, ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও, দলীয়ভাবে তাদের শাস্তি দেওয়ার কোনো ইতিহাস নেই। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে দেখা যায়, দেড় হাজারেরও অধিক গণতন্ত্রকামী মানুষকে গণঅভ্যুত্থানে হত্যা করার পরেও, আওয়ামী লীগের কোনো নেতার কোনো অনুতাপ, অনুশোচনা বা আতœসমালোচনার নজির নেই।অপরদিকে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। তারপরেও এত বিশাল সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে কোনো অপরাধে জড়িত হলে, তা জানা মাত্রই বিএনপি দ্রুত সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৫ আগস্টের পরে, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছিল, পুলিশের অনুপস্থিতি ছিল। সেই সময়ে দলীয়ভাবে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, দেশকে আগলে রেখেছে, নিশ্চিত করেছে জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা।প্রতিহিংসার রাজনীতিতে না জড়িয়ে সহিংসতাকে প্রতিহত করেছে এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে বলেও জানান তিনি। নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজারী হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামস এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এবিএম তৌফিক হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সুজানগর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বিশ্বাস, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন বিশ্বাস, বেড়া উপজেলা বিএনপি নেতা গণি ফকির, মঞ্জুর আলম সিকদার, কৃষকদল রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম, সুজানগর উপজেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম(রফিক মন্ডল), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হোসেন ফকির, আব্দুল ওহাব সিকদার, নজরুল ইসলাম,রোকনুজ্জামান রতন, ছাত্রদল নেতা রনি সিকদার, শাহীনুজ্জামান শাহীন, এনামুল হক তিতু হাজারী ও শেখ কাউছার প্রমুখ।