এম এ আলিম রিপন
জামাই আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন কৃষক শ্বশুর। সেই দৃশ্য দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করেন সুজানগর উপজেলার চর সুজানগর গ্রামে।সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে শ্বশুরের পাঠানো হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন বর মো.জুয়েল হোসেন(শামীম)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের কৃষক মো.রতন প্রামানিক তার বড় মেয়ে মোছা.রেনু আক্তারের বিয়ে ঠিক করেন সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার বনগ্রাম গ্রামের মো. মেছের মৃধার ছেলে ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন শামীমেরর সঙ্গে। কনের চাচা ইসমাইল হোসেন প্রামানিক জানান, ভাইয়ের ইচ্ছে তার আদরের বড় মেয়ের বরকে হেলিকপ্টারে করে নিজ বাড়িতে আনবেন। এরপর মেয়েকে হেলিকপ্টারে করেই শশুরবাড়িতে পাঠাবেন। এজন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করে জামাই জুয়েল হোসেন শামীমের বাড়িতে পাঠান । কনের ফুফাতো ভাই শাকিল হোসেন জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে সোমবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি আসেন বর। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যান বর জুয়েল হোসেন শামীম। বিয়ের আড়ম্বরপূর্ণ এ আয়োজন দেখতে ও নিমন্ত্রণে আসা অতিথিসহ গ্রামের শত শত মানুষ ভিড় জমায় বিয়ে বাড়িতে। সুজানগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগে কখনই এমন অনুষ্ঠান দেখিনি। হেলিকপ্টারে বরের আসা ও পরে নববধূকে নিয়ে যাওয়া দেখে এলাকার মানুষ খুব উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। বর জুয়েল হোসেন শামীম বলেন, আমার শ্বশুর তার ইচ্ছে পূরণ করার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করে আমাদের বাড়িতে পাঠান। সেই হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি এসে বিয়ে করে বউ নিয়ে ফিরে আসি।কনের বাবা মো.রতন প্রামানিক বলেন, আমার মেয়ে জন্মগ্রহণের সময় ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম মেয়ের বিয়েতে হেলিকপ্টারে বর এনে বিয়ে দেবো। আবার মেয়েকে সেই হেলিকপ্টারে শশুর বাড়ি পাঠাবো। সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হলো। এখন আমি খুব খুশি।