ঈশ্বরদী সংবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে আলোচিত ডাকাতি মামলার ৫ ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে। আটককৃতরা হলো পাবনা সদর থানার বড়দীঘশাইল গ্রামের সেলিম প্রাং এর পুত্র মাহাবুল আলী (৩৬), ভাঙ্গুরা থানার চৌবাড়িয়া হারুপাড়া গ্রামের আফসার আলীর পু্র হাসিনুর রহমান হাসু (২৪), আতাইকুলা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের পুত্র মমিন (৩৩), একই থানার সাদুল্লাপুর গ্রামের খোকন জমাদ্দারের পুত্র সবুজ জমাদ্দার (২২) এবং ঈশ্বরদীর মোকারামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের পুত্র শিশির (২২)।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঈশ্বরদী থানার প্রেসব্রিফিং এ বলা হয় ৫ই মার্চ মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ডাকাত দলের নিকট হতে ডাকাতিকৃত ৫,৫০০ টাকা, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, দরজা ভাঙ্গার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাত আড়াইটার দিকে ঈশ্বরদী থানার মোকারমপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের বাড়ীতে ৫/৬ জনের ডাকাত দল দরজার শিকল কেটে এবং শোবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাবুলকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে এবং স্ত্রী ও কন্যাদের জিম্মি করে। এসময় ডাকাতরা সোনা ও রূপাট গহনা, নগদ টাকা এবং মোবাইলসহ অন্যান্য সামগ্রী লুটে নিয়ে বাড়ির পূর্ব দিকের পাকা রাস্তা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ২৩ ফেব্রুয়ারী বাবুল হোসেন (২৯) বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। ঈশ্বরদী থানার মামলা নং-৪৫, তারিখ-২৩/০২/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল রুজু হয়।
মামলার পর পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতীপ্রাপ্ত) আকবর আলী মুন্সির সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্বাবধানে অভিযানে নামে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এবং ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামীর নেতৃত্বে থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসান বাসিরসহ পুলিশের চৌকস টিম ডাকাতিকৃত মালামাল ও ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৎপরতা চালায়। এক পর্যায়ে ৫ ডাকাত গ্রেফতার হয়। আসামীরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তারা পাবনা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে থানা জানিয়েছে।