ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :
ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শুরুতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী এমাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ভোটারদের প্রভাবিত করা ও নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার অভিযোগে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। একই সঙ্গে স্থানীয় এমপি সমর্থিত প্রার্থী পরিচয়ে রানা সরদার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও অভিযোগ মিন্টুর।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৩ মে। এতে নিজেকে স্থানীয় পাবনা ৪ আসনের এমপি গালিবুর রহমান সমর্থিত প্রার্থী পরিচয় দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এমাদুল হক রানা সরদার আনারস প্রতীক পান। প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে অনধিক ৫ জন সমর্থক নিয়ে যোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও রানা সরদার সহস্রাধিক লোক জমায়েত করে মিছিল করেছেন। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন। এতে স্থানীয় এমপির সমর্থক নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার আসামিও অংশ নিয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন।
আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছেন। ভোটারদের স্মতস্ফূর্ত উপস্থিতিতে উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দলীয় প্রতীক না দিয়ে সবাইকে অংশ নেওয়ার সুযোগও তিনি করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই রানা সরদার আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন। নিজেকে এমপির সমর্থিত প্রার্থী পরিচয় দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আনারস ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিলে পরিণাম ভালো হবে না বলে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমি এর প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। আশা করি তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রানা সরদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
তবে, আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমাদুল হক রানা সরদার। তিনি বলেন, এমপি সাহেব সমর্থন দিয়েছেন কিনা এটি সরাসরি বলতে পারব না, বলার সুযোগও নেই। এটা মনের ব্যাপার। তবে এমপি সাহেবের চাচা লক্ষীকুন্ডা ইউপি
চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ ও ছোট ভাই যুবলীগ নেতা তমাল শরীফ আমার ভোট করছেন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে কোনো শোডাউন হয়নি। পথসভা করা হয়েছে। কাউকে হুমকিও দেওয়া হয়নি। এগুলো অসত্য অভিযোগ।