এম এ আলিম রিপন ঃ রবিবার(১৩ অক্টোবর) থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই এই সময়ে মাছটি ধরা ও বিক্রি বন্ধে লিফলেট বিতরণ করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। বুধবার পাবনার সুজানগর উপজেলার চলনা, নিশ্চিন্তপুর, সাতবাড়িয়া, গোয়াড়িয়া, ভিটবিলা ও সুজানগর পৌর মাছ বাজার, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান জানান, মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশোধিত আইন ১৯৮৫ এর রুলস ১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত সময়ে সব প্রকার ইলিশ মাছ আহরণ ,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়,বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। চলতি বছরের রবিবার(১৩ অক্টোবর) থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই এই সময় ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সরকার ঘোষণা করেছে। ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে ইলিশ মাছ আহরণ ,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও নৌ পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। তাই অবৈধ ইলিশ মাছ আহরণ ,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় হতে বিরত থাকতে এবং এ সংক্রন্ত তথ্যাদি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগকে জানিয়ে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় নিজেকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।