এ. এইচ. মাসুক ঃ দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হতে যাচ্ছে ইছামতি খনন কাজ। বর্তমানে ৪ মাইল খনন কাজ করে দ্রুত গতিতে পাবনা শহরের দিকে এগিয়ে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , সেনা বাহিনী ক্যাম্প করে প্রায় ৪০ টির মতো ভেকু যার একটি একটি বগ ৪০ মিটার লম্বা। এ সকল ভেকু দিয়ে গভীর থেকে গভীরতম করে কাটা মাটি উত্তোলন করে পাড় বেঁধে আসছেন। দেখা গেছে মাটির স্তর থেকে পানির লেয়ার পর্যন্ত খনন করার ফলে পানি এমনিতেই নদী হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রকৃত ইছামতি নদীর রূপ ফিরে আসছে।
মাধপুর থেকে আতাইকুলা হয়ে চরভবানীপুর পর্যন্ত অনেক মাছ চাষের পুকুর ছিলো নদী আটকিয়ে। আর এ সকল পুকুর নিমিষেই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনীর ভেকুর দল। তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন , বিট্রিশ আমলে যেমন ইছামতি নদী ছিলো ঠিক তেমনি এই নদী দিয়ে আবারও পাল তোলা নৌকা যাবে। সেদিন খুব দূরে নয় খুব কাছে যা আপনারা দেখেছেন। আমরা আনুমানিক ভাবে নদীর গভীরতা বুঝতে পেলাম প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট আর চওড়া দুইশ থেকে দুইশ ৫০ ফুট। তবে পাবনা শহর বাসির এক নজর কষ্ট করে আতাইকুলা গিয়ে দেখে আসা উচিত। আরো জরুরী ভাবে দেখে আসা উচিত যাদের শহরের মধ্যে ইছামতির দুইধারে বাড়ি। তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা গিয়ে দেখে আসুন।
উল্লেখ্য সেনাবাহিনীর সাথে আরো কথা হলে , তারা বলেন আমরা নদী কাটার পূর্বে যে সকল জায়গা দিয়ে লাল পতাকা হলুদ পতাকা উড়িয়েছি এবং দেয়ালে নদীর সীমানা রেড সিগন্যাল দিয়েছি ঠিক ঐ ভাবেই আমরা উচ্ছেদ সহ নদীর রূপ নিয়ে আসবো। এতে কোন প্রকার আইনগত বাধা আর দেওয়ার মতো সুযোগ নাই। তবে তারা আরো উল্লেখ করেন নদীর দুই ধারে যাদের বসবাস তারা এক সময় নদীকে আশীর্বাদ বলবে যারা বর্তমান বলছে অভিশাপ। নদীর দুই ধার দিয়ে পাবনাবাসি হাটা চলা করতে পারবে। নদীর পাড়ে বসে মুক্ত হাওয়া নিতে পারবে শিশুদের জন্য কোথাও না কোথাও পার্ক হবে। এবং অনেকগুলো পয়েন্টে পাবনা শহরবাসির গোসল করার জন্য সিঁড়িও থাকবে।
একটি সুত্র জানায় , শহরের হামিদ রোডে যানজট মুক্ত করার লক্ষে চরশিবরামপুর ¯্রুইচ গেট থেকে মন্ডল পাড়া লালু সরদারের বাড়ির পাশ দিয়ে কাঁচারিপাড়া হয়ে সাধুপাড়ার উপর দিয়ে হাউজ পাড়া দিয়ে গোবিন্দা নতুন ব্রীজের নিচ দিয়ে খেয়াঘাট হয়ে এডওয়ার্ড কলেজ মোড়ের মাঝখান দিয়ে সদর হাসপাতাল ও স্কয়ার মেরিল বাইপাস পার হয়ে শশানঘাট পাড় দিয়ে ফকিরপুর পর্যন্ত ওয়াটার বোর্ড চলবে। এই সকল বোর্ডে ১০ থেকে ২০ জন করে যাত্রী যাওয়া আসা করতে পারবে খুব অল্প খরচে। এই ধরণের প্রায় ২ শতাধিক ওয়াটার বোর্ড থাকবে হামিদ রোডের যানজট কমানোর লক্ষে। এতে পাবনা বাসির ব্যাপক থেকে ব্যাপক উপকার হবে বলে তারা জানান।