চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মাদ্রাসার সহকারী অধ্যপাক ও গভর্নিং বডি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ রবিউল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে এলাকাবাসী,ছাত্র-জনতা মাদ্রাসায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করা মওলানা মোঃ আবু ইসহাককে তার অফিস কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তার কক্ষে তালা লাগানো হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ রবিউল করিমকে দায়িত্ব পালনের জন্য চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে,চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দু’জন দাবি করে আসছিলেন। এরমধ্যে মওলানা মোঃ আবু ইসহাক গত ৭ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত বছর মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ৭টি শুন্য পদে লোকবল নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মওলানা মোঃ আবু ইসহাক অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন। বিধিমোতাবেক আবু ইসহাককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ থেকে বাদ রেখে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রবিউল করিমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডি। কিন্তু মওলানা আবু ইসহাক দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে সবকিছু আগের মতোই নিয়ন্ত্রণে রাখেন। সহকারী অধ্যাপক রবিউল করিম বারবার দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও আবু ইসহাক তা না করে তালাবাহানা করতে থাকেন। এসময় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রবিউল করিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা না হলে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এলাকাবাসী মাদ্রাসায় গিয়ে মওলানা আবু ইসহাককে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে তারা আবু ইসহাককে বের করে দিয়ে কক্সে তালা লাগান। পরে মোঃ রবিউল করিমকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য বলেন। এসময় এলাকার জনপ্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তি,ব্যবসায়ী সমিতির ষবাপতি,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,শিক্ষক প্রতিনিধি,ছাত্র-যুবকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে রবিউল করিম বলেন,আমি নিয়ম ও আইন অনুযায়ী এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। গভর্নিং বডি পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমি এই পদে আসীন আছি। মওলানা মোঃ আবু ইসহাক জোরপূর্বক,স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে দায়িত্ব আঁকড়ে ছিলেন। এলাকাবাসী তাকে অপসারণ করেছেন।
এ বিষয়ে মওলানা মোঃ আবু ইসহাক বলেছেন,শুধুমাত্র নিয়োগকালীন সময়ের জন্য রবিউল করিমকে সাচিবিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। সভাপতি অপসারণ হয়েছেন। যার কারণে তার দায়িত্বও শেষ হয়ে গেছে। তাকে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। আমি ফের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন,বিগত ৮ মাস সে কেন দায়িত্ব নেননি। আজকে জোরপূর্বক দায়িত্ব নিয়েছে লোকজন নিয়ে এসে। আমাকে জোর জবরদস্তি বের করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেন,আমি গভর্নিং বডির মিটিং ডাকতে বলেছি। রবিউল করিম দায়িত্ব নিয়েছেন,পালন করুক। মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়,সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ,অন্য দাবিদারকে বের করে দিয়েছে এলাকাবাসী
চাটমোহর
2 Mins Read
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment