চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসেন (৩৫) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের তেনপীরতলা তেলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই চাটমোহর পৌর সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে যুবদল নেতা-কর্মীরা। এরপর গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার রেলবাজারে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে পাবনা-চাটমোহর সড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘন্টাব্যাপী অবরোধে সড়কের দুই পাশে যানাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ ঘটনার জন্য মূলগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিনকে দায়ী করে বলেন,তার লালিত সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন। সভায় লিখন বিশ^াস,লিটন বিশ^াস,মোন্তাজ আলী,সাইফুল ইসলাম,তানভীর জুয়েল লিখনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে মথুরাপুর তেনাপীরতলা এলাকার তেলপাম্পের সামনের চা স্টলে বসে কথা বলছিল ফারুক। এমন সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য খতবাড়ি গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে যুবদল নেতা ফারুকের উপর অতর্কিত হামলা করে রড দিয়ে পিটাতে থাকে। এসময় তার সাথে থাকা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। পিটানোর এক পর্যায়ে সে সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে তারা তাকে ফেলে রেখে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় তার সাথে থাকা নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পা দিয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরনের ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার বলেছেন, যুবদল নেতা ফারুকের হাটুর নিচে দুই পায়েই মারাত্বক জখম হয়েছে। দুটি পা’ই ভেঙ্গে গেছে। শনিবার তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মূলগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন,আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ফারুক যে কর্মকান্ড করছে,তারই জের এটা। আমাকে জড়ানো তাদের পরিকল্পিত ঘটনা। আমি কোনভাবেই এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। তিনি স্বীকার করেন,চাটমোহরে বিএনপির একাধিক গ্রুপ সক্রিয়। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন বিএনপিতে।
এ ঘটনার বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন,ঘটনাটি আমরা জানার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুককে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
চাটমোহর
3 Mins Read
Previous Articleচাটমোহরে অবৈধ সোঁতিবাঁধ অপসারণ করলো প্রশাসন
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment