ঈশ্বরদী সংবাদদাতা:
মাদকাসক্ত হয়ে বিকৃত যৌন কামনা চরিতার্থ করতে গিয়ে বলাৎকাটে ব্যর্থ হয়ে শিশু জিহাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে। ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র
শিশু জিহাদ হত্যার ২৪ ঘন্টার আগেই হত্যা রহস্য উন্মোচন ও আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী আসিফ (৩১) উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিকৈড় গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও পেশায় একজন ট্রলি চালক। নিহত জিহাদ একই ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামের হাসেম আলী ছেলে ও স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্ডেনের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
রবিবার (৭ জুলাই) ঈশ্বরদী থানায় এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী। এ সময় ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে জিহাদ তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা শেষে বাসায় ফেরার পথে মাদকাসক্ত আসিফের সঙ্গে দেখা হয়। আসিফ তাকে বলাৎকারের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক (সিএন্ডবির) পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে জাপটে ধরে বিবস্ত্র করলে সে চিৎকার করতে থাকে। এসময় আসামী আসিফ জিহাদের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে পাশের জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার বিকেলের পর দীর্ঘসময় জিহাদকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই রাতেই জিহাদের পরিবারের সদস্যরা ঈশ্বরদী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে শনিবার ( ৬ জুলাই) ভোরে দাশুড়িয়া মুনসিদপুর তেঁতুলতলা এলাকায় ওই পরিত্যক্ত ভবনের ঝোপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় পাটিতে জড়ানো জিহাদের মরদেহ দেখে পুলিশের খবর দেয় স্থানীয়রা। লাশ উদ্ধারের পরপরই তদন্ত নামে পুলিশের একটি চৌকস দল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন বিকেলে সন্দেহভাজন হিসেবে নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসিফকে আটক করে পুলিশ। পরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। অভিযুক্ত আসিফের বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যা ও মাদক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।