ঈশ্বরদীর থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইউরেনিয়ামের প্রথম পর্যায়ের শেষ চালান সড়কপথে সকাল ৭.৩৫ মিনিটের দিকে রূপপুরে পৌঁছে। সড়কপথে ইউরেনিয়ামের চালানবাহী গাড়ি বহর আসার সময় কিছুক্ষণের জন্য সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এরআগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম, ৬ অক্টোবর দ্বিতীয়, ১৩ অক্টোবর তৃতীয়, ২০ অক্টোবর চতুর্থ এবং ২৭ অক্টোবর পঞ্চম এবং ৩ নভেম্বর ষষ্ঠ চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে।
প্রথম পর্যায়ের মোট সাতটি চালানের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবকটি চালান নির্বিঘ্ণে রূপপুরে এসেছে । এ সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
জানা গেছে, রূপপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তিন বছর বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। একবার জ্বালানি লোডের পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) এবং পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পরপর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট হবে না। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতেই ধারাবাহিকভাবে চালানের জ্বালানি রাশিয়া পাঠিয়ে দিচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বড় প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থের ১০ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। ঋণ সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৯০ শতাংশ প্রদান করছে। বাংলাদেশ সরকার ও রাশান ফেডারেশনের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম এবং একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।