এম এ আলিম রিপন ঃ নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমানের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। চোখে ছিল পানি,তবু সিন্ধ হাসি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কাছ থেকে বিদায় নেন তিনি। এ সময় কাঁদলেন তিনি, কাঁদলেন সকলকে। এমন দৃশ্যের অবতারণা হয় বিদায়ী প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমানের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। পাবনার চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুনবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় চত্বরে এ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত বাচ্চু, সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী মন্ডল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক আসলাম উদ্দিন, সুজানগর শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আলী, দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক যুগান্তরের সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন, নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানা পারভিন,ইকবাল হোসেন,ফরিদা ইয়াসমিন, আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ, রেহেনা খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন, হাফিজ আল আসাদ ও মাহাতাব উদ্দিন ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নিরব প্রামানিক প্রমুখ। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, অবসরজনিত বিদায় আমাদের মনকে নাড়া দিয়েছে। বিষয়টা খুবই কষ্টের ও বেদনার । সে নিঃসন্দেহে একজন ভাল মানুষ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক,ম্যানেজিং কমিটি,ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামবাসীর অশ্রুসিক্ত নয়ন তার প্রমান। শিক্ষকতা জীবনের অনন্য অবদাননের সুফল ও ভাল কর্মের পুরস্কার এটি। প্রাক্তন ছাত্র নিরব বলেন, এই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অগ্রগতির নেপথ্যের কারিগর প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যে কোন বিষয়ে তাঁর কাছে নির্ধিদায় বলা যেত। কখনও তিনি নিরাশ করেননি । স্যারকে শেষ বেলা একটা কথা-ই বলবো, আমরা আপনাকে অনেক ভালবাসি। এর আগে সহকর্মীদেও স্মৃতিচারণে উঠে আসে প্রান শিক্ষকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের কতা। অনেক শিক্ষক ‘বিদায় বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন সময় নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারেননি আমন্ত্রিত অতিথিরাও। বিদায়ী বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান বলেন, এই ভালোবাসার কাছে আমি আজীবন ঋণী। চলার পথে যখন দেখা হবে,ভেবে নিও আমিও তোমাদের একজন ছিলাম। এত সুন্দর সংবর্ধনা আয়োজনে আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক আরও বলেন আপনাদের এই ভালবাসা ভুলবার নয়। পরে অত্র বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্প মাল্য,সম্মাননা এবং উপহার সামগ্রী প্রদান শেষে রাজকীয়ভাবে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে বিদায়ী প্রধান শিক্ষককে নিজ বাড়ি পৌঁছে দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদায়ী প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সকলের জন্য তাঁর বাড়িতে খাবারের আয়োজন করেন ।