এম এ আলিম রিপন ঃ ১২মে সুজানগরের সাতবাড়ীয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গণহত্যা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সামছুল আলম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই জানান,১৯৭১ সালের এ দিন পাক হানাদার বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত ইউনিয়নের কুড়িপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কাচুরী, তারাবাড়ীয়া, ফকিৎপুর, সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, সিন্দুরপুর, হরিরামপুর, ভাটপাড়া,বর্তমানে পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়া কন্দর্পপুর এবং গুপিনপুর সহ ১৫/২০টি গ্রামে অপারেশন চালিয়ে গণহত্যা করে। তারা এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ওই সকল গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ফকোর উদ্দিন, সমির সাহা, গোপাল শেখ, অসিত সাহা, খিতিশ সাহা এবং সেকেন্দার আলীসহ নাম না জানা প্রায় ২/৩‘শ নারী-পুরুষকে হত্যা করে। এদের মধ্যে পাক হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকাররা প্রায় দেড়‘শ জনের লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। শুধু তাইনা পাক হানাদার বাহিনী গণহত্যা করার পাশা-পাশি গোটা ইউনিয়নে ব্যাপক লুটপাট, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালায়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২০১৩ সালে সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।