এম এ আলিম রিপন ঃ দেশের উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী পাবনার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন মূলকাটা পেঁয়াজ। বর্তমানে সুজানগর পৌর হাট সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যাপক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) সুজানগর পৌর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে এবং মানভেদে এ নতুন মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা মণ দরে। যা গত রবিবারের হাটে বিক্রি হয় ৩৫০০ থেকে ৩৭০০ টাকায়। এবং গত বছরের এই সময়ে নতুন এ পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০০-১১০০ টাকা মণ দরে । সুজানগর উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানাযায়, সুজানগরে এবারে প্রায় ১৬’শ হেক্টর জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে । অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক সময়ে সার বীজ দিতে পারায় কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমি থেকে ৪০ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত পেঁয়াজ এবারে ঘরে তুলছে। পৌর হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আমজাদ হোসেন নামে এক পেঁয়াজ চাষী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রতি বিঘায় তাদের শ্রমিক,সার,বিষ সহ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে আর বর্তমানে তারা যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাতে লাভবান হচ্ছেন । পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন মন্ডল জানান, এই উপজেলার বৃহত্তর গাজনার বিল ও চর অঞ্চলে যেহেতু এই মূলকাটা পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে তাই চরঞ্চালের পার্শ্ববর্তী শ্যামগঞ্জ,বোনকোলা, রাইপুর ও সুজানগরের পৌর হাট-বাজারেই সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আমদানি হয়ে থাকে। আর এই পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনার জন্য এখানে এসে থাকেন। এই পেঁয়াজ ঘরে বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখা না যাওয়ার কারণে কৃষকেরা মাঠ থেকে তুলেই স্থানীয় হাট বাজারে দ্রুত বিক্রি করে দিয়ে থাকেন । উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বুধবার যুগান্তরকে জানান, নতুন মৌসুমি এ মূলকাটা পেঁয়াজ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করায় এখন থেকে আস্তে আস্তে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে আসবে । এছাড়া কৃষকেরা বর্তমানে তাদের জমিতে দানা পেঁয়াজ রোপণ করতে শুরু করেছেন। এবং এ উপজেলায় দানা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। নতুন এ দানা পেঁয়াজ আগামী ৩ মাসের মধ্যেই কৃষক আবার ঘরে তুলতে পারবে বলে ।