এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত কয়েক দিনে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট,নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে প্রভাবশালী মহল অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে ভাঙন রোধ ও নদীর তীর রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী সাতবাড়ীয়া কাঞ্চন পার্ক এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু,সালমা খাতুন,ইবাদুল ইসলাম ও নায়েব আলী প্রমুখ। ভাঙন কবলিত ভুক্তভোগীরা বলেন, স্থানীয়ভাবে নদী শাসন ও অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোল বন্ধে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এ মানববন্ধন করছেন তারা। এ সময় তারা জানান,উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকা থেকে শুরু করে নদীর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের কয়েকটি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষি জমি। নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। স্থানীয় বাসিন্দা আম্বিয়া খাতুন জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের। সময় থাকতে এই নদী ভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে নদীর পারের মানুষ। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। তাই তাদের দাবি আশ^াস নয় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী । এ বিষয়ে রবিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।