সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া পৌর সদরে অবস্থিত সাঁথিয়া সরকারি কলেজসহ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ওয়াশরুমের গ্রীল কেটে ভেতরে ঢুকে ও অফিস সহকারির কক্ষের তালা ভেঙ্গে টেবিলের ড্রয়ারে রাখা প্রায় ৭ হাজার নগদ টাকা নিয়ে যায়। একইভাবে অধ্যক্ষের কক্ষসহ চারটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি আলমারি ভেঙ্গে নথিপত্র তছনছ করে। তবে ওই সকল কক্ষে থাকা ল্যাপটপও ডেস্কটপ কম্পিউটার চোরেরা কিছুই নেয়নি। শুক্রবার(১৬ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে একই রাতে পাশর্^বতী হলিক্রিসেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে চোরেরা একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে নগদ ২১হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
সাঁথিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদিন রাতে কলেজের নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিল অসুস্থ্য থাকায় সে রাতে বাড়িতে ছিল। বিষয়টি জানতে পেয়ে সংঘবদ্ধ চোরেরা এ সুযোগে ওয়াশ ব্লকের গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি আলমারির নথিপত্র তছনছ করে এবং প্রায় ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে জরুরী কোন কাগজপত্র খোয়া গেছে কিনা দেখতে হবে। এলাকার চিহ্নিত সংঘবদ্ধ চোরেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হলিক্রিসেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক এবং বোয়াইলমারী কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন রানা জানান, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে চোরেরা বই বিক্রির গচ্ছিত নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে এবং এ সময় নথিপত্র তছনছ করে ।
এ ঘটনায় সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আনোয়ার হোসেন বলেন, চুরির ঘটনা ব জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ কম্পিউটার অনেক কিছু ছিল কিন্তু কিছুই নেয়নি। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।