সাঁথিয়া সংবাদদাতাঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর আতাইকুলা ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামে অসহায় নারীকে ধর্ষনের দুই মাস পার হলেও ধর্ষকের কেশাঘ্র ছুঁতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক না করায় জন মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ধর্ষনের অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার আর আতাইকুলা ইউনিয়নে পদ্মবিলা গ্রামের সাবেক মেম্বর বিএনপি নেতা সেলিম হোসেন ও একই গ্রামের হানিফের ছেলে শফিক ও কুমিরগারী গ্রামের লালন ফকির।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আর আতাইকুলা ইউনিয়নে পদ্মবিলা গ্রামের অসহায় মুদি দোকানী (৩৫) কে গত ১২ মে রাত দুইটার দিকে বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই দোকানীকে মুখ বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর অসহায় দোকানী আতাইকুলা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করে না । পরে ধর্ষিতা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ গত ৭ই জুন থানায় মামলা রেকর্ড করে। যার নং ০২। থানায় মামলা মাসাধিক হলেও পুলিশ আসামীদের ধরছে না বলে বাদীর অভিযোগ। মামরার প্রধান আসামি সেলিমের নামে সাঁথিয়া ও আতাইকুলা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, মামলার পর থেকেই আসামীরা ভিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকী দিয়ে আসছে। আমি প্রাণ রক্ষায় বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি। থানা পুলিশ আসামী আটক না করায় তারা আমাকে হুমকী দিয়ে আসছে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মামলাটি বিতর্কিত। তবে তদন্ত চলছে।