আটঘরিয়া প্রতিনিধি: সাদা সোনা চাষ বলে পরিচিত কার্পাস তুলা চাষে পাবনার আটঘরিয়ার কৃষকরা লাভবান হওয়ায় ক্রমশর এই তুলা চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মাঝারি ও ক্ষুদ্র কৃষকরা তুলনামূলক কম খরচে ও পরিশ্রমে এবং সরকারি আর্থিক সহযোগীতায় ফসল আথিৃক লাভজনক হওয়ায় অনেকে তুলা চাষে ঝুকছেন।
আটঘরিয়ায় মাজপাড়া ইউনিয়নের নাদুড়িয়া, খিদিরপুর, মাজপাড়া, হাড়লপাড়া, প্রভৃতি এলাকার কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আশেপাশের গ্রামে ক্ষুদ্র ও মাজারি কৃষকরা ক্রমশ তুলা চাষে এগিয়ে আসছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে চাষিরা জানান। এসব এলাকার মাটি ও আবহাওয়া তুলা চাষের অনূকুল বলে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া তুলা চাষে সরকারি সহযোগীতা সহায়ক ভূমিকা রয়েছে।
গ্রামের একজন কৃষক জানান, গুটি কার্পাস তুলা চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম। প্রতি শতকে ২০ কেজি তুলা হওয়ায় মৌসুমের প্রথম দিকে ৩৫ শতক জমি থেকে ২৮০ কেজি তুলা সংগ্রহ করেছি। একই গ্রামের অপর এক চাষী বেগম বলেন, ‘৩৫ শতক জমিতে তুলা চাষ করতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয়শ কেজি তুলা সংগ্রহ করতে পারবো বলে আশা করছি। প্রতি কেজি তুলা ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি করছি। গাছে যে পরিমাণ তুলা আছে, আরও এক মাস বিক্রি করতে পারবো। অন্য যেকোনো ফসল থেকে গুটি কার্পাসের ফলন বেশি, খরচও কম।’