তানভীর ইসলাম
প্রতিবারের ন্যায় এবছর পাবনায় বিভিন্ন অঞ্চলে পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় জমির উর্বরতা এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকার দরুন পাটের ভালো আবাদ লক্ষনীয় হয়েছে। চারা গাছ থেকে পাট বৃদ্ধি পাওয়ার আগ পর্যন্ত পরিমিত পরিমাণে বৃষ্টি জমিতে পাট আবাদে খুব ভালো একটি সহায়তা করেছে। পাবনায় স্থানীয় বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে ধুলাউড়ি, সুজানগর, চিনাখড়া, বোনগ্রাম, আতাইকুলা ও মাধপুরে পাটের আবাদ লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছে। প্রায় প্রতিবিঘা জমিতে এবছর পাট উৎপাদিত হয়েছে ১০/১২ মন করে। সরকারী প্রনোদিত বিভিন্ন সার বীজ পাট উৎপাদনে বিস্তৃত ভূমিকা পালন করেছে।
তবে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও পাটের ভালো আবাদ কেবল মাত্র চাষিদের সম্পূর্ণ সফলতা এনে দিতে পারেনি। পাবনা জেলার একাধিক গ্রামাঞ্চলে পর্যবেক্ষন করে দোখা যায় বিভিন্ন নদী নালা খাল বিল গুলোতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি স্বল্পতা। ফলে পাট জাগ দিয়ে ও পঁচায়ে পাট সোলা থেকে আশ এড়াতে ভীষণ বিপাকের মধ্যে পড়েছে কৃষকেরা। এদিকে স্বচ্ছ পানিতে পাটে জাগ দিতে নিয়ে, জলাশয়ে চাষের মাছ ভেসে ওঠে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় স্থানীয় পাট চাষিদের কথায় বোঝা যায় বাজারে পাটের ভালো দাম রয়েছে। পরিমিত পরিমাণে পাট জাগ দিয়ে তাতে আশ এড়াতে পারলে পাটের ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পাবনা সদর উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা।