খালেদ আহমেদঃ
বাংলাদেশের মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত, কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত, লিখা এবং ভাব প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটা বর্বর আর দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে আমাদের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে। যখন দুঃশাসন একটা সমাজে আসে সেই সমাজের মানবিকবোধ, মূল্যবোধ, অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। মানুষ গড়ার কারিগর ‘শিক্ষক সমাজ” তাদের কথা বলার, মত প্রকাশ করার বিষয়ে শঙ্কিত, ভীত সন্ত্রস্ত।
এখানে একজন সুপার বক্তব্য দিলেন যে, মাদ্রাসাগুলোকে অবহেলা, বৈষম্য এবং সব সময় ভীতি আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হত। গত ২ দশকে আমাদের যে জঞ্জাল, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে হাহাকার, নিরব কান্না করে এসেছে । শিক্ষক এবং শিক্ষয়ত্রীর মধ্যে আজকে প্রতিবাদের ভাষা আছে। নিরবে যারা আল্লাহ পাকের কাছে বিচার দিয়েছে, আমাদের প্রার্থনার সাথে সাথে কবুল হয়ে গেছে। এক ঝাঁক তরুণের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জীবন্ত তাজা রক্তের বিনিময়ে এক রক্তাক্ত পিচ্ছিল রাজপথের মধ্য দিয়ে একটা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। একটা ভয়ের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল সেই আবহাওয়া থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে আমাদের তরুণেরা সকল জনতাকে সঙ্গে নিয়ে একটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমাদের একটা নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সহকারী ও শ্রমিক নেতা এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস গতকাল বুধবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল পাবনার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট পাবনা সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট পাবনা সদর উপজেলা শাখার মতবিনিময় সভা ২০২৪ এ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে বলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন ঘাতে- প্রতিঘাতে, জেলে- যন্ত্রণায় জর্জরিত।
আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি। আর দেশনেত্রীকে যদি আল্লাহ হায়াতে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে আমি, সারা বাংলাদেশের শিক্ষকদের যে দাবি, যেটা উনি বিরোধী দলে থেকে পূরণ করতে পারেননি সেটা আদায়ের জন্য সর্বাত্মক লড়াই করবো।
সংগঠন ও অনুষ্ঠানের সভাপতি আদর্শ গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান তার স্বগত বক্তব্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাবনা সদর (৫) আসন থেকে এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে যেনো মনোনয়ন প্রদান করেন সেই দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ন মহাসচিব আব্দুল করিম, আদর্শ গার্লস হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ খান, জাগির হোসেন একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, সংগঠনের পাবনা জেলা আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালেবুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাসুম বিল্লাহ, ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আলী নাসির, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকসিম হোসেন, সহকারী শিক্ষক সেলিম আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা প্রধান অতিথির কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালেবুর রহমানের সঞ্চালনায় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনার সকল উচ্চ বিদ্যালয ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
সন্ধঢা ৭ টায় সভাপতি ওহিদ ও সম্পাদক তালেব প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের
কার্যক্রম শুরু করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ভারারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হক।