পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে স্বৈরাচারী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে দাঁড়াতে গঠিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে বলে ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতেপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, বেদনাবিধুর ৫ আগষ্টের ১ মাসের রক্তের লড়াইয়ে যারা জীবন দিয়েছেন পঙ্গুত্ববরণ করেছেন যারা মারা গেছেন দেশে তারা ও তাদের পরিবার স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ৯০ এর গণ আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ৫২ ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তারা স্বরণীয় হয়ে আছে। ২৪ এর লড়াইয়ে ১৫৫২ জন জীবন দিয়েছে তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের আশ্রিত সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলন্ঠিত করেছে।
দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মাটি কামরে থেকেছেন। আর ওনি ৪৫ মিনিটে পালিয়ে গেলেন। ভারত ছাড়া কোন দেশ তাকে জায়গায়ও দিচ্ছে না। ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতে দোসরদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
আবাবিল পাখির মত ৫ তারিখে ঢাকার রাজপথে আবির্ভাব হয় মানুষ। গগনবিদারী শ্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত হয়। পতিত সরকারের হেলমেট বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া দরকার। বৈষম্য ও শোষণ মুক্ত জাতি ও সমাজ গঠন করতে হবে।
আমরা জিয়া পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে ইনশাআল্লাহ।