আটঘরিয়া প্রতিনিধি: চলতি তাপদাহে একদিকে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত, অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের অভাবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানীয়জলের সংকট দেখা দিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। হস্তচালিত অধিকাংশ নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এখন একমাত্র সাবমারসিবল পানির পাম্পই ভরসা। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখনও স্বাভাবিক কখনও অস্বাভাবিক থাকায় মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে তবে বেড়েছে হিটস্ট্রোক ও সাপের উপদ্রব। এই এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উঠানামা করছে।
আটঘরিয়ায় ৩ শতাধিক মুরগির খামার ও ছোট বড় অর্ধশতাদিক গরুর খামারিরা পানির সংকট নিয়ে চিন্তিত। পর্যপ্ত পানি ছাড়া এসব খামার এক ঘন্টা চলা দুরূহ। ফলে সামারসিবল পানির পাম্প সচল থাকবে কিনা তাই নিয়ে তারা চিন্তিত আছেন। অধিকাংশ হস্তচালিত টিউবয়েল ক্রমান্বয়ে অচল হয়ে পরছে।
তবে ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখনও স্বাভাবিক কখনও অস্বাভাবিক থাকায় মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও ইতিমধ্যে ২০ এপ্রিল হিটস্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছে সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব বিশ্বাসের ভাজতি জামাই আলাউদ্দীন ও পারখিদিরপুর গ্রামের আজিজুল খানের বড় ফুফু।
অপরদিকে গরমে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। গত ২১ এপ্রিল নাগদাহ গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সাপের কামড়ে মারা যায়। বিভিন্ন মসজিদে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হচ্ছে।