মজিবুল হক লাজুক ঃ বর্তমান বর্ষার পানিতে পাবনার চতুর দিকে ভরাট হয়ে রয়েছে। আর এই সুযোগে অবৈধ চায়না জাল প্রস্তুতকারীদের দৌড়াত্বে দেশ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় মাছ যেমন: কৈ , টেংরা , শিং, বোয়াল , টাকি , বায়েম , পুটি সহ আরো অনেক প্রজাতির মাছ। এই চায়না জাল যেখানে ব্যবহার করার হচ্ছে সেখানকার ডিম ফুটা মাছও রেহাই পাচ্ছেনা। এক শ্রেণীর এই চায়না জাল তৈরি কারক টাউট বাটপাররা কৌশলে গোপনে চায়না জাল তৈরির ফ্যাক্টরি বানিয়েছে। আর এ সকল ফ্যাক্টরীতে খুব কম মূল্যে কিছু অসাধু জেলেদের কাছে জাল তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে যা দেখার কেউ নাই। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় যে পরিমাণ দেশীয় মাছ উৎপাদন হতো আগামীতে এই দেশীয় মাছ উৎপাদনে শূণ্যের কোঠায় পৌছাবে বলে মৎস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আর এতে দেশীয় মাছের চাহিদায় হা হা কার পড়বে।
এদিকে সরকারের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করায় ভাঙ্গুড়ার , চাটমোহর , ফরিদপুরের ইউএনও গন চরম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে , উক্ত প্রতারক , ভন্ড জাল তৈরির কারক ব্যাক্তিরা স্ট্যাটাস্কো হাইকোর্ট থেকে নিয়ে এসেছে বলে দাবি করেন। আর এতে ইউএনও গন দুঃখের সাথে বললেন পুনা নিধনকারি জাল প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠানরা হাইকোর্টকে মূলা দেখিয়ে একটি রায় নিয়ে আসেন। এই রায়তে চায়না জাল তৈরি করাতে বাধা দেওয়া যাবেনা এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবেনা। এবং ইউএনও মহোদয়রা আরো বলেন , ফ্যাক্টরীতে কোন জেল জুলুম বা জরিমানা করাও যাবেন। আর তাই পোনা মাছ নিধনে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা সরকারের কর্মকর্তারা।
এক শ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে চায়না জাল প্রস্তুত করার অর্থ যোগান দিচ্ছে। বিনিময়ে জেলেদের বা মৎসজীবিদের বাধ্যতা মূলক উক্ত টাকা প্রদান কারি মৎস ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ দিতে হবে। ফলে তারা খুব কম দামে এ মাছগুলো নাম মাত্র ক্রয় করে বাজারজাত করছে। এতে দেশীয় মাছ খাওয়া বা স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে আগামীতে দেশের মানুষেরা।
এ বিষয়ে বর্তমান অন্তরবর্তীকালিন সরকারের মৎস উপদেষ্টা জরুরী ভিত্তিতে ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখে হাইকোর্টের স্ট্যাটাস্কো বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে দিয়ে পোনা মাছ রক্ষা করবেন বলে মৎস বিশেষজ্ঞরা আশা করেন। তা না হলে আগামীতে রাজধানীর বাজার সহ জেলা পর্যায়ের হাটে বাজারে কোন দেশীয় মাছ পাওয়া যাবেনা। সেই সাথে বিল-বাওরেও জেলেরা মাছ না ধরতে পেরে তাদের জীবন-যাপন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। বর্তমানে পাবনার জেলায় গাজনার বিল , চতরার বিল , আংশিক চলনবিল সহ শতাধিক বিলে ব্যাঙের ছাতার মতো চায়না জাল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে হাজার হাজার কোটি কোটি বিভিন্ন জাতের পোনা ধরা পড়ছে। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে পোনা ধরছে দেখার কেউ নাই।
পোনা নিধনকারী চায়না জালের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা প্রশাসন
পাবনা সদর
3 Mins Read
Next Article পাবনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে নারী সমাবেশ
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment