এম এ আলিম রিপন ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৯পাবনা-২ সংসদীয় আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় সাত সংসদ সদস্য প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। ওই সাতজন হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ,জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মেহেদী হাসান রুবেল,বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল(জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আনিসুজ্জামান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান। সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার(০৭ জানুয়ারী) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে মোট ১০৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)এর প্রার্থী জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পান ৪৩৮২ ভোট।জামানত বাঁচাতে তার প্রয়োজন ছিল অন্তত ১৩ হাজার ২৬৭ ভোটের। এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক আম প্রতীক নিয়ে পান ৪১১ ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে পান ৪০৪ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মেহেদী হাসান রুবেল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পন দুই হাজার ২২ ভোট,বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পান ৩৬৬ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল(জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আনিসুজ্জামান মশাল প্রতীক নিয়ে পান ২১১ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান ঈগল প্রতীক নিয়ে পান দুই হাজার ১৩ ভোট। সুজানগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বেড়া উপজেলা আংশিক মো.আবুল কালাম জানান,সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী কোন আসনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের অন্তত একভাগ ভোট পেতে হয় জামানত রক্ষায়। না পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে। পাবনা-২ আসনে এই সংখ্যক ভোট আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য সাতজন সংসদ সদস্য প্রার্থী পাননি। তাই অন্য সাত প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে।