সেলিম মোর্শেদ রানা
পাবনা সাথিয়া উপকর সহকারি কমিশনের কার্যালয় সারকেল-১০ এর অফিস সহকারি মোহাম্মদ আলী ও পিয়ন আবু হানিফের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।
অভিযোগসূত্রে জানা জায় সাথিয়া উপজেলার আতাইকুলা পরি স্টোরের মালিক তার বাড়ির ভবন করায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে এক লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়েছে, তা ছারা আতাইকুলার মানিক ঘোষ নামে আরো এক ব্যক্তির কাছ থেকে ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে জানা যায়। সাথিয়া পলাশ জুয়েলার্স, প্রোপাইটার চন্দন কুমার কর্মকারের কাছ থেকে ৫৫০০০/ ইনকাম ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় , বিষয়টি এলাকায় লোকমুখে জানাজানি হলে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে এদিকে ক্ষেতু পাড়া ইউনিয়নের হেলাল উদ্দিন বলেন বিগত কয়েক মাস আগে টিন খোলার জন্য ৩০হাজার টাকা দিয়েছি,এখন পর্যন্ত আমার কাজ করে নাই, টাকা ফেরত চেয়ে মাসের পড় মাস ঘুরছি।
এদিকে নাম না বলার শর্তে এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী সাথিয়া উপ কর কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলী ও পিয়ন আবু হানিফ অফিস নিয়মিত করেন না, তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ঘু্য, চাঁদাবাজি দুর্নীতি নানান অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।
স্থানীয়রা আরও বলেন, এখন সময় এসেছে এরকম ঘুষখোর এবং দুর্নীতিবাজ দুজন কর্মচারীকে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অফিস সহকারি মোহাম্মদ আলী ও আবু হানিফ মুঠোফোনে দু একটি অভিযোগ স্বীকার করলেও তাদের আত্মীয় পাবনার বড় মাপের দুইজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বেশি ফোনে কথা বলতে নারাজ সাক্ষাতে কথা বলে বিষয়টি দেখবে বলে জানান।
বিষয়টি সাথিয়া উপ কর সহকারি কমিশনার শরীফ মিয়ার কাছে অফিস স্টাফ মোহাম্মদ আলী, হানিফের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন আমি নতুন জয়েন্ট করেছি, তবে জয়েট করার পর থেকেই দু একটা অভিযোগ পেয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কর কমিশনার বজলুর রহমান মুঠো ফোনে বলেন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।