পাবনা প্রতিনিধি : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার ৫টি সংসদীয় আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৭ জন। গত দুই দিনে যাচাই বাছাই শেষে ৩৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে খলাপী ঋণের কারণে সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীসহ নানা কারণে ৩টি মনোনায়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩৪টি বৈধ ঘোষণা দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের যাচাই-বাছাই শেষে তিনি জানান, পাবনার ৫টি আসনের জন্য ৩৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। গত রবিবার এবং সোমবার দুইধাপে মনোনায়ন পত্র গুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে পাবনা-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীর ক্রেডিট কার্ডে ঋণ খেলাপির জন্য মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ১ শতাংশ ভোটার সমর্থেন ত্রুটি থাকায় পাবনা-২ আসনে আব্দুল আজিজ খান এবং পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল করিমের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৩৪টি মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন-
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (আওয়ামীলীগ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (স্বতন্ত্র), সরদার শাজাহান (জাতীয় পার্টি), শামসুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), পারভীন খাতুন (জাসদ), জয়নাল আবেদীন (তৃণমুল বিএনপি) ও মুকুল হোসেন (জাকের পার্টি)।
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামীলীগ), খন্দকার আজিজুল হক আরজু (স্বতন্ত্র), মেহেদী হাসান রুবেল (জাতীয় পার্টি), আজিজুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শেখ আনিসুজ্জামান (জাসদ), আবুল কালাম আজাদ (তৃণমুল বিএনপি), মমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।
পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (আওয়ামীলীগ), আব্দুল হামিদ মাস্টার (স্বতন্ত্র), মীর নাদিম মোহাম্মদ ডাবলু (জাতীয় পার্টি), মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপি), বেলাল মোল্লা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), খায়রুল আলম (গণতন্ত্রী পার্টি), কামরুজ্জামান হাদী (জাকের পার্টি) ও আবুল বাশার শেখ (জাসদ)।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক (জাসদ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস (স্বতন্ত্র) এবং মনছুর রহমান।
পাবনা-৫ (সদর) আসনে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (আওয়ামী লীগ), আব্দুল কাদের খান (জাতীয় পার্টি),জাকির হোসেন (ওয়ার্কার্স পার্টি), মফিজ উদ্দিন প্রাং (জাকের পার্টি), আবু দাউদ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) এবং আফজাল হোসেন বটু (তৃণমুল বিএনপি)।