সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘর ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাদোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আব্দুল ওহাব গ্রুপের কাদোয়া গ্রামের ভ্যানি প্রামাণিকের ছেলে তাজু প্রামাণিক (৪৫) , মৃত সবেত আলী প্রামাণিকের ছেলে আলাউদ্দিন প্রামাণিক (৫০), আলাউদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৪০) ও ছেলে আশিকুর রহমান শুভ (২১), মৃত ফাততার আলীর ছেলে মাসুম শেখ (৩৪), মৃত হযরত আলী প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০), আব্দুস সালাম প্রামাণিকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও তফিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫)। শাহীনুজ্জামান শাহীনের গ্রুপের একই এলাকার সাহেব প্রামাণিকের দুই ছেলে সলিম প্রামাণিক (৩৫) ও ইসিম প্রামাণিক (৪০), সুবহান প্রামাণিকের ছেলে সুমন প্রমানিক (৩৮), মৃত ইমান প্রামাণিকের ছেলে মনির উদ্দিন প্রামাণিক (৬৩) এবং আজিত কাজীর ছেলে উজ্জল কাজী (৪০)।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে আছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হোন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদোয়াসিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে পাবনার সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।