‘আত্মমর্যাদার পরিবেশ, কুষ্ঠ কলঙ্কের হবে শেষ’ (ইবধঃ খবঢ়ৎড়পু: ঊহফরহম ঝঃরমসধ, ঊসনৎধপরহম উরমহরঃু)- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনায় পালিত হয়েছে বিশ^ কুষ্ঠ দিবস।
পাবনা সিভিল সার্জনঅফিসের আয়োজনে ওস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় কুষ্ঠ কর্মসূচি-এর সহযোগিতায় পাবনা সিভিল সার্জন অফিস মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টায় উক্ত বিষয়ের উপরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা সিভিল সার্জন দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা মেডিকেল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান খ্যাতিমান চর্ম বিশেষজ্ঞ ডা. আখতারুল আলম আজাদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ খায়রুল কবির, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান, পাবনা সদর হেলথ কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল হামিদ খান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সাবিনা ইয়াসমিন ও নাটোর সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মো. জর্জিস হোসেন।
অনুষ্ঠানে কুষ্ঠ রোগের উপরে বিষয়ভিত্তিক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. ইশায়াত জামান। আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন এমওসিএস ডা. জাহিদ রহমান।
প্রধান অতিথি ডা. আখতারুল আলম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করতে হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করতে হবে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে। তিনি বলেন, রোগ নির্ণয়ের শুরুতেই রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। কুসংস্কার দূর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ‘কুষ্ঠরোগীকে টিউবওয়েল থেকে পানি নিতে দেয়া যাবে না, তাকে একঘরে করে রাখতে হবে’- এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ্ বলেন, পাবনা জেলায় ১৫ জন কুষ্ঠ রোগী আছে। তিনি কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে ও রোগীদের অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, বিশ^ কুষ্ঠ দিবস পালন উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালী সিভিল সার্জন অফিস চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।