পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতাল চত্বর থেকে হারিয়ে গেছেন মোঃ ইয়াসিন আলী (৬৫) নামে এক বয়স্ক মানসিক রোগী। তার ঠিকানা রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার, হরিপুর থানার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রগাঁও গ্রামের মৃত, মোঃ জার্জিস আলীর ছেলে।
গত ০৯ সেপ্টেম্বর সকালে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর জন্য তাকে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসেন। হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক দেখানোর জন্য তাকে বসিয়ে রাখা হয়। সকাল সাতটায় হাসপাতালে আসার পরে ১২ টার দিকে হঠাৎ করেই তিনি কাউকে কিছু নাবলে লাপাত্তা হয়েযায়। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরসহ আশেপাশের গ্রাম ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাকে অনেক খুঁজেছেন। তবু তার কোন সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পাবনা সদর থানাধীন হেমায়েতপুর ওয়ার্ড এর হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। থানার জিডি নং ৭০০।
ঘটনার বিষয়ে নিখোঁজ পিতার সন্তান মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, আমার বাবা পেশায় একজন কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। তবে তাকে দেখে বা কথা বলে বোঝা বেশ মুশকিল সাধারন মানুষের জন্য। সে কোন কিছু মনে করে রাখতে পারেনা। এটাই তার সমস্যা। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম আমরা। রাতেট্রেন যোগে নাটোর হয়ে আমার বাবা ও ভাগিনাকে সাথে নিয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালে আসি সকালে ৭টার দিকে। সব ঠিক ঠাকই ছিলো। তাকে চোখো চোখো রাখা হয়েছিলো। কিন্তু এরই ফাকে এক সময় হঠাৎ করে আমার বাবাকে আর দেখতে পাইনা সেখানে। আমরা সকলে মিলে বাহিরে, গ্রামে সকল স্থানে খুঁজতে থাকি। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে রাতে স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। প্রচার মাইকিং এর মাধ্যমেও অনেক খোঁজা খুঁজি করা হয়েছে। তবে এখনো তার সন্ধান আমরা পাইনি। আমার নিখোঁজ বা হারিয়ে যাওয়া বাবার জন্য আমরা পরিবারের সদস্যরা বেশ চিন্তার মধ্যে আছি। কারন সে কোন কথা মনে করে বলতে পারেনা। বাড়ির ঠিকানাও সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। তাই যদি কোন সহৃদয় ব্যাক্তি আমার বাবার সন্ধান পেয়ে থাকেন তবে এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি। যোগাযোগের মুঠোফোন নাম্বার ০১৭৮৩৯৬৪২০২/ ০১৭৫১৪৭৭০২৫।