আটঘরিয়া প্রতিনিধি:দেশি আলুর বিকল্প জেন আলুর আবাদ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ব্যাপকভাবে আগ্রহ বাড়ছে। এই আলু মাটি আলু নামেও পরিচিত। অনেকেই বাড়ির আনাচে-কানাচে মাটির নিচে পুতে সীমিত আকারে চাষ করতো। এখন তা জেন আলু নামে কৃষকদের আবাদযোগ্য ফসল হিসেবে মাঠে দেশী আলুর মতো মাটিতে পুঁতে মাচা তৈরি করে আবাদ শুরু হয়েছে। এই জেন আলু দেশি আলুর চেয়ে দামে বেশি এবং চাহিদাও বাড়ছে।
স্থানীয় হাট বাজার গুলোতে এই আলু বিক্রি শুরু হয়েছে, বেশি বিক্রি হয় টেবুনিয়া ও আটঘরিয়া হাটে। এই আলু খুবাই সুস্বাদু, তরি-তরকারিতে সকজি হিসাবে এবং বিকল্প তরকারী হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে থেকে এখন জমিতে দেশি আলুর মতই মাটিতে পুঁতে মাচা তৈরি করে মাচায় তুলে দিলে লতাপাতা ভরে গাছেই আলু ধরছে। এই জেন আলু কৃষকরা স্থানীয়ভাবে বিক্রি সহ আশেপাশের হাট-বাজারে পাইকারি ও ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করে থাকে। ফলে এই জেন আলু আবাদে কৃষকরা যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন বলে কৃষক শরিফুল ইসলাম জানায়। এ জেন আলু দেশি আলুর মতই যে কোন তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
জেন আলু দেখতে দেশি আলুর মতই কিন্তু আকারে বড় হয়। এই আলু আবাদে দেশি আলুর চেয়ে খরচ ও পরিশ্রম কম, শুরুতে মাচা তৈরিতে যা খরচ। আর এই মাচা একবার তৈরি করলে বহুদিন আবাদ করে আলু পাওয়া যায়