স্টাফ রিপোর্টার : অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে ও বইমেলা উদযাপন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে গতকাল সন্ধ্যায় আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ। অংশগ্রহনকারীরা হলেন কোবাদ আলী, এড. আব্দুল হান্নান শেলী, প্রলয় চাকী, ফরিদুল ইসলাম খোকন, সগির উদ্দিন, সালফি আল ফাত্তাহ, গনেশ দাস, বিপ্লব ভট্রাচার্য, রবিউল ইসলাম, রাশেদুল আওয়াল রিজভী, মাজহারুল ইসলাম মুনু, এস এম আইয়ুব আলী, মাহবুবুল আলম লিটন, ভাস্কর চৌধুরী, দিবাকর চক্রবর্তী, বিপ্লব ভৌমিক ও মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল। তারা বলেন, বইমেলা হলো সাংস্কৃতিক কর্মীদের এক প্রাণের মেলা। অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই, শিল্পীদের সামাজিক যে সম্মানের ধারা তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আজকে ডিজিটালের কারনে অনেকেই আর মঞ্চের কাছে আসছে না। তবে সাংস্কৃতিক কর্মীরাই পাবনাসহ দেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আজকে পাবনার অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী, বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্র, ললিত কলা কেন্দ্র ইফাসহ অনেক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুপ্রেরণার জায়গা। সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনগুলোকে যে ধরনের প্রশাসনিক পৃষ্টপোষকতা থাকা দরকার তা করা হয়না। বই না পড়লে আপনি ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী হতে পারবেন না। প্রথমে আগে ভালো পাঠক হতে হবে, তাহলেই নিজেকে যে কোনো ক্ষেত্রে আপনি সমৃদ্ধ করতে পারবেন। আর সকলকে নিজেদের সন্তানদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করবার ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিতে হবে। তাহলেই আগামী দিনের সমাজ হবে আলোকিত। সভা পরিচালনা করেন ড. মো. হাবিবুল্লাহ ও এড. মোশফেকা জাহান কনিকা। আলোচনা শেষে সুরঙ্গন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এর আগে বিকালে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব প্রলয় চাকীর সার্বিক তত্বাবধায়নে সঙ্গীত পরিবেশন করেন নমিতা রায়, অঞ্জলী ভৌমিক, শফিকুল ইসলাম, মো. ইউনুসসহ শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও নাঈম আহমেদের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীবৃন্দ। অসংখ্য দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিবজিত নাগ সকলকে বইমেলাতে আমন্ত্রণ জানান।