চাটমোহরে দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা

চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনায় চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত দুই বোনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আরাজি উথুলি খামারপাড়া গ্রামে দুই বোনকে মারধর করা হয়। আহত দুই বোন হলেন-লাম (২০) ও মিম (২০)। তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে। আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২)। তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৩ জনকে বিবাদী করে চাটমোহর থানায় মামলা করেছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি পায়েলের পিতা রফিকুল ইসলাম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এসময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে গিয়ে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয় সে কথা বলেণ। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। লামের চিৎকারে তার জমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে জমজ দুই বোনকে বেধড়ক মারধর করে।
পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত রেজাউল করিম রিজু। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল।
এ বিষযয়ে অভিযুক্ত চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পায়েল বলেন, আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।
চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়,আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে শনিবার (১৮ মে) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন,বিষয়টি এখনও আমি জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে; তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।