চাটমোহর প্রতিনিধি
বাংলাদেশের বৃহৎ বিল চলনবিল। শস্য ও মৎস্যভান্ডার চলনবিল পাড়ে চলছে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ। শুঁটকি চাতালগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। খাল-বিল,নদী-নালা,জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মাছ ধরার পাশাপাশি সেই মাছ দিয়ে তৈরি করা হচে।ছ শুঁটকি। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়ে। এ বছরও শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। চলনবিল অঞ্চলে শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন। বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে চলনবিলের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা চাটমোহরের আকরাম হোসেন বললেন,মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১ মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা যা,প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। তাছাড়া এবছর চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা কম হওয়ায় মাছের আকাল পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে,তার দামও চড়া। তারপরও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাতালে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই বিলে আর মাছ মিলবেনা। তাই এখন সবাই ব্যস্ত শুটকি মাছ উৎপাদনে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন বললেন,চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে যুগযুগ ধরে। এটা চলনবিলের ঐতিহ্য। বিলপাড়ের লোকজন বাড়ির জন্যও শুঁটকি মাছ তৈরি করে বছরব্যাপী খেয়ে থাকেন। এ বিলের শুঁটকি সুস্বাদু। চাহিদাও ব্যাপক। শুঁটকি থেকে এ অঞ্চলের মৎস্যজীবি ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হন।
চলনবিলে চলছে শুঁটকি উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ
চাটমোহর
2 Mins Read
এই সম্পর্কিত আরো খবর পড়ুন
Add A Comment