আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ গ্রাম অঞ্চলের মুদির দোকান এখন ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। যে কোন ঔষধ এখন মুদির দোকানে পাওয়া যায়। ফ্লাইং বিক্রেতা হিসেবে অনেকেই এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। একারণে নি¤œমানের ঔষধে সয়লাব, এতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুকি।
গ্রাম অঞ্চলে যে কোন মুদির দোকানে গিয়ে যেকোনো ঔষধ চাইলে দোকানী তা নির্বিঘেœ বের করে দিবে। এসব ঔষধের মধ্যে আছে নানা রকম প্যারাসিটামল ট্যাবলে, গ্যাসের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, মেট্রোনিডাজল জাতীয় ট্যাবলেট, ঠান্ডা-সর্দি, জ্বরের ঔষধ এমনকি এন্টিবায়োটিক পর্যন্ত পাওয়া যায়। এসব মুদির দোকানী কোন লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে ঔষধ বিক্রির ফলে অনুমোদনপ্রাপ্ত ফার্মেসীগুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেকের অভিযোগ গ্রামাঞ্চলের মুদির দোকানে নিম্নমানের ঔষধ বেশি বিক্রি করা হয়।
গ্রাম অঞ্চলের একজন মুদির দোকানী এক-একজন গ্রাম্য ডাক্তার সেজে অবাধে সাধারণ মানুষের রোগের কথা শুনে ঔষধ দিচ্ছেন। এসব ঔষধ ফ্লাইং বিক্রেতার থেকে নেওয়া। অধিকাংশই ঔষধ নিম্নমানের বলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অন্যদিকে মুদির দোকানীরাও বেশি লাভবান হচ্ছে।
অনুমোদন প্রাপ্ত ফার্মেসি মালিকেদের অভিযোগ, ড্রাগ প্রশাসনকে এসব অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অভিমত, ড্রাগ প্রশাসন থেকে গ্রাম অঞ্চলের মুদির দোকানে ছব্দবেশে আকষ্মিক অভিজান চালিয়ে ক্রেতা হিসাবে যে কোন ঔষধ চাইলেই পাওয়া যাবে।