রবিউল রনি: কবরস্থান ও এগ্রো ফার্ম করার জন্য জমি কেনার নাম করে প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণা করে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এক প্রতারক।
পাবনার বলরামপুর গ্রামের ফজলু মোল্লার ছেলে কাওসার অতি সুকৌশলে এই প্রতারণা করে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী প্রবাসী।
আমেরিকা প্রবাসী আনোয়ার আজিজ জিয়া বলেন বিগত ৯ মাসে পর্যায়ক্রমে এই কাওসারের কথায় প্ররোচিত হয়ে আমি আমার উপার্জনের প্রায় এক কোটি টাকা গোরস্থানের জমি কেনা ও এগ্রো ফার্ম করার জন্য প্রেরণ করি।
কাওসার আমাকে জানায় যে তারা আমার নামে জমি, দুধের গরু, ট্রাক ও তার নিজের ব্যাবহার করার জন্য একটি মটরসাইকেল কিনেছে।
কিন্তু বাস্তবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা এসব কিছুই না কিনে আমার টাকা আত্মসাৎ করে নিজেরা বিলাসী জীবন যাপন করছে।
আমার সন্দেহ হলে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ছেলেটি জুয়া সহ বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথচ আমাকে জানিয়ে ছিল সে নিয়মিত নামাজ পড়ে ও ভাই তানভীর মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
তিনি আরো বলেন যে কাউসারকে স্থানীয় কবরস্থান ও এগ্রো ফার্মের জন্য জায়গা কিনতে বলায় সে আমাকে বিভিন্ন জায়গার ছবি পাঠায় এবং বলে যে এই জায়গা বিক্রি হবে এত দাম।
আমি যথারীতি সেই দাম পাঠিয়ে দিলে ভুয়া রেজিস্ট্রি দলিলপত্রের ছবি আমাকে পাঠায় এবং মুঠোফোনে সেই ভুয়া জমির মালিকের সঙ্গে আমাকে কথা বলিয়ে দেয়।
কাওসার আমাকে অন্যের গরুর ছবি পাঠিয়ে দিয়ে বলে যে এই গরু আমি কিনেছি আপনার সারা এগ্রো ফার্মের জন্য।
আমি তাদের অগাধ বিশ্বাস করায় দিনে দিনে এত টাকা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন কাউসারকে আমি প্রতিমাসে বেতন দিতাম এবং তাদের বাবাকেও কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম তাদেরকে আমি অগাধ বিশ্বাস করতাম কিন্তু তারা সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।
আমি ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারি নাই যে তারা আমার সাথে প্রতারণা করছে।
তাদের কাছে যখন কেনা গরু সম্পর্কে জানতে চাই তখন তারা বলে কেনা গরু গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে এবং আমরা সেই গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত আছি এবং খামারে প্রতিদিন ১৭ লিটার করে দুধ হচ্ছে।
তখন তাদের কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হলে আমি আমার নিকট আত্মীয়দের সাহায্যে সেখানে সঠিকভাবে খোঁজ নিয়ে দেখতে পাই কাউসার কোনো গরুই কেনে নাই এবং সারা এগ্রো ফার্মের নামে যে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্টটি খোলা হয় সেখানকার সব টাকা তারা উত্তোলন করে নিয়েছে।
তিনি দুঃখ করে বলেন প্রবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ যেখানে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চেয়েছিলাম তা সম্পূর্ণভাবেই এই প্রতারক আত্মসাৎ করে ফেলেছে।
আমার কাছে টাকা পাঠানো সকল প্রমাণাদি আছে। তার প্রতারণা আমি বুঝতে পেরেছি তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।