দেশের সুনামধন্য মিডিয়া হাউজ ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কার্যালয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তের হামলার ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে পাবনায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট ) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব হলরুমে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সমকাল ও এনটিভির স্টাফ রিপোটার এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিউজ টুয়েন্টিফোরের পাবনা জেলা প্রতিনিধি আহমেদ উল হক রানা।
প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ খান, আরটিভির প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, বাসসের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, দিনকালের প্রতিনিধি খালেদ হোসেন পরাগ, যমুনা টিভির কলিট তালুকদার, কালের কন্ঠের প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রিজভী জয়, এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার শফিক আল কামাল, পাবনা বার্তার মামসুল ইসলাম, ঢাকা পোস্ট এর রাকিব হাসনাত, কালের কন্ঠ পাবিপ্রবি প্রতিনিধি আব্দুল আল মামুন, আমাদের সময়ের পাবনা প্রতিনিধি সুশান্ত কুমার সরকার, বাংলা ৭১ এর পাবনা প্রতিনিধি নবী নেওয়াজ, জনবানীর পাবানা প্রতিনিধি পলাশ হোসাইন, কালের কন্ঠ মাল্টিমিডিয়ার রাজিব জোয়ার্দারসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা জেলা কমিটির সদস্য বৃন্দ প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রথমেই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ৭টি প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের তিব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। একই সাথে বিগত সরকারে মত গণমাধ্যম কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের কন্ঠ রোধ না করে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। আর যারা গণমাধ্যম কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ না দিয়ে প্রতিষ্ঠান গুলোতে হামলা করে ভাঙচুর করছে তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করছে। বক্তার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই হামলা ও ভাংচুরের সাথে কোন ছাত্রদের সম্পর্ক নেই। এটি একটি চক্র এই সময়ের সুযোগ নিয়ে দৃর্বৃত্তদের দিয়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গুলোকে হামলা করাচ্ছেন। একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সারা দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিক জড়িত রয়েছে। এটি তাদের কর্মের স্থান। দেশের নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পরে এখনই সময় সঠিক তথ্য উপাত্ত দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরা। সাংবাদিকের হলেন সমাজের দর্পণ। মিডিয়া হাউজ গুলো সারা দেশ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে দেশের মানুষের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংবাদ তুলে ধরেন। আর সেই সংবাদকর্মী ও মিডিয়া হাউজে হামলা ভাংচুর করা হচ্ছে। এই হামলা ও ভাংচুরের সাথে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করা হয়। একই সাথে বর্তমানে দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
উর্ধতন কর্তৃপক্ষে সারা দেশে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী ও প্রতিষ্ঠান গুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দারের দাবি জানানো হয়।