আব্দুস সাত্তার মিয়া
শান্তিপূর্ণভাবে বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় দফায় পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে আওয়ামী লীগ দলীয় দুই নেতার লড়াই হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তানভীর ইসলাম (মোটরসাইকেল প্রতীক), ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিদুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তহমিনা সুলতানা (হাঁস প্রতীক) নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ভোট প্রদানের হার ৫৪.৫৫%।
আটঘরিয়া উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩,৩৮,৮৭১ জন, তন্মধ্যে পুরুষ ৭০,১০৭ জন, মহিলা ৬৮,৭৬৪ জন। মোট ভোটার উপস্থিতি ৫৪,৫৫০ জন, উপস্থিতির হার ৫৪.৫৫%। এখানকার ১ পৌরসভা ও ৫ ইউনিয়নের ১৪৪ গ্রামের জন্য ভোট কেন্দ্র ছিল ৪৫টি এবং মোট বুথ সংখ্যা ছিল ২৪৮ টি। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমএ শান্তিপূর্ণভাবে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। তবে একাধিক কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় ভোটগ্রহণ কিছুটা বিলম্ব ঘটে বলে প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান।
নির্বাচনে তানভীর ইসলাম (মোটরসাইকেল প্রতীক) ৪০,৫৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী চাঁদভা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদভা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (পদত্যাগকৃত) সাইফুল ইসলাম কামাল (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪,৭৬৭ ভোট।
অপর দেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রতিদ্বন্দ¦ীর মধ্যে ২৫,১৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মহিদুল ইসলাম (চশমা প্রতীক), তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হোসেন (মাইক প্রতীক) পেয়েছেন ১৫,১৫০ ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আজিজুল গাফফার (টিউবয়েলের প্রতীক) পেয়েছেন ১৩,৫৬১ ভোট, ইউসুফ আলী (তালা প্রতীক) ৮৩০৯ ভোট ও শামীম সরকার (উড়জাহাজ প্রতীক) ১৩,০২৫ ভোট।
এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তহামিনা সুলতানা (হাঁস প্রতীক) ২১,৭০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসমা খাতুন (ফুটবল প্রতীক) পেয়েছেন ১৪,৬০৬ ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে
উম্মে কুলসুম (কলস প্রতীক) পেেয়ছেন ৮,৫৩৩ ভোট, নীলা খাতুন (পদ্মফুল প্রতীক) পেয়েছেন ৪,৭১১ ভোট, পামেলা খাতুন (প্রজাপতি প্রতীক) পেয়েছেন ৭,৬১৯ ভোট, রাশিদা পারভীন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) পেয়েছেন ৯,৮১৪ ভোট, রুনা আক্তার (ফুলের টব প্রতীক) পেয়েছেন ৩,৩৪১ ভোট ও সামেলা খাতুন (সেলাই মেশিন প্রতীক) পেয়েছেন
৪৮৮২ ভোট।
প্রশাসন, বিজিবি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও জরদান নিরাপত্তার কারণে কোথাও কোন গন্ডগোল, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা ঘটে নাই। ভোটের পরের দিনও পরিবেশ শান্ত।