আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পশ্চিম এলাকার অধিকাংশ কৃষকের লাভজনক অর্থকরী ফসল শিম। প্রতিবছর শত শত বিঘা জমিতে দেশি ও আগাম উন্নত জাতের শিম আবাদ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছে এবং শিম আবাদে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে বেশি। ইতিমধ্যে আগাম জাতের শিম গাছে ফুল ও শিম ধরতে শুরু করেছে এবং আসন্ন শীতের আগেই তা বাজারে উঠতে শুরু করবে। আগাম জাত হিসেবে ১ সপ্তাহ পর বাজারে শিম পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। পুরা মৌসুমে এখানকার শিম দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়ন শিমের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এছাড়া পাশের চাঁদভা ইউনিয়ন, দেবোত্তর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার অনেক কৃষক শিম আবাদ করেছে। প্রতি বিঘায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবে বলে মুনতাজ আলী নামের এক চাষী জানায়। প্রচন্ড খড়া ও অতিবৃষ্টি না হলে এবার অনুকূল আবহাওয়ায় শিম চাষিরা বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তবে মাজপাড়া ও চাঁদভা ইউনিয়নে বেশি শিমা আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে মাঠ জুড়ে শিম গাছ ও ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। শিম চাষী ইউনুস জানায়, শীতের আগে এই শিম উঠবে বলে দাম বেশি পাওয়া যাবে। তিনি জানান, দেড় মাস পর থেকে এবং প্রায় এবং প্রায় ৫-৬ মাস যাবৎ সিম পাওয়া যায়। এ সময় প্রতি কেজি শিম স্বাভাবিক বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হয়। তবে প্রথম প্রথম ২০০ টাকা কেজিও যায়। প্রতি বিঘা খরচ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, তবে শীত মৌসুমে খরচ কম।
শিম চাষী হাবিব জানায়, শিম চাষের উপকরণের কীটনাশক, সেচ, সার, বীজ এসবের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়াও শিমের পাইকারি আরত মুলাডলি, সরাবাড়িয়া, চাঁদভা, ধলেশ্বর এসব স্থানে পরিবহণ খরচ ও ফড়িয়া দালালের দৌরাত্বে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। শিম চাষী আকবর জানায়, অটো, রূপবান, চকলেট জাতের শিম বেশি আবাদ করা হয়।
এই এলাকা থেকে উঠতি মৌসুমে শত শত মন শিম ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়ে থাকে।