নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রায় এক বছর আগে আবেদন করলেও ফসলি মাঠে সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি কৃষক রিপন হোসেন। এ কারণে প্রায় ১০ একর জমিতে চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর ডাঙ্গাপাড়া মৌজার কৃষকরা।
রিপন হোসেন বলেন, ২০২৩ সালে ৫ মার্চে নলকূপ স্থাপনের জন্য আবেদন করার পর ঐ বছরের ২৭ মার্চ নলকূপ স্থাপনের জন্য লাইসেন্স পান তিনি। ২০২২ সালে ৫ জুন বিদ্যুত সংযোগের জন্য পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আটঘরিয়া জোনাল অফিসে রিমান্ড নোটের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়েও এখানো তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।
রিপন হোসেনের অভিযোগ, একই এলাকার আকরাম আলী খানের ছেলে ইশারত আলী তার বিদ্যুৎ সংযোগ না দিতে উপজেলা সেব কমিটির কাছে আবেদন করে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দেওয়া হলে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতিকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়ার পরেও আজ অবধি তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না।
অভিযোগ বিষয়ে কথা হয় ইশারত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছর রিপন হোসেনের সেচযন্ত্র থেকে ৬০০ ফুট দূরে আমার সেচযন্ত্র রয়েছে। একই জায়গায় আরেকটি সেচ যন্ত্র বসানোর কোন নিয়ম নেই। সেই কারণেই আমি সেব কমিটির নিকট অভিযোগ দিয়েছি।
ডাঙ্গাপাড়া মৌজারা কৃষক সবুজসহ একাধীক কৃষক জানান, তাঁদের এলাকার অনুমোদিত সেচযন্ত্রের মালিক রিপন হোসেন। কিন্তু তাঁর সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় চাষাবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
মাজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ইশারত আলীর সেচযন্ত্রের কোন লাইসেন্স নাই। কিন্তু রিপন হিসেনের লাইসেন্সের অনুমোদন রয়েছে তার পরেও তার সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি উপজেলা সেচকমিটির সভাপতিকে অবহৃত করার পরেও তার সংযোগ দেওয়া হয়নি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
বিএডিসি (ক্ষুদ্রসেচ) উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের সাথে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব আল মারুফ জানান, কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারেন, এ জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।