আটঘরিয়া প্রতিনিধি: রূপালী আঁশ বলে খ্যাত পাটের সাথে সাথে পাট কাঠি (শোলা) যা রূপালী কাঠি হিসেবে পরিচিত। পাবনার আটঘরিয়ার পাট চাষীরা এখন সারি সারি পাটকাটি সাজিয়ে সমান দামে বেচা-কেনায় ব্যস্ত। যেসব এলাকায় পাটের আবাদ বেশি সেসব এলাকায় পাট চাষীদের কাছে রূপালী আঁশ ছাটের সাথে সাথে পাটকাঠির (শোলা) কদরও রয়েছে সমানভাবে। পাটের আঁশ ছাড়িয়ে এই পাটকাঠির (শোলা) গাদা দিয়ে রাখে যা তারা কাঙ্খিত মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।
দেবোত্তর ইউনিয়নের গোড়রী, বালির বিল, জুমাইখিরি, সাবডাঙ্গা, রায়পুর, চাঁদপুর, কয়রাবাড়ি, পুস্তিগাছা, পাটেশ্বর, একদন্ত ইউনিয়নের ডেংগারগ্রাম, সুজাপুর, চোবাড়িয়া প্রভৃতি গ্রামের শত শত কৃষক পাট ছিলে পাটকাঠি আটি হিসাবে হাজার হাজার আটি (শোলা) এই রুপালি কাঠি সারি সারি গাদা দিয়ে রেখেছে। কেউ নিজের বাড়ি, কেউ খোলা জায়গা বিশেষ করে পুস্তিগাছা-কয়ড়াবাড়ি থেকে ডেংগারগ্রাম এবং চাঁদপুর-গোড়রী থেকে জুমাইখিরি-তারাপাশা পর্যন্ত পাকা রাস্তার এক পাশে সারি সারি গাদা করে রাখা এই রুপার কাঠি পাটকাঠি (শোলা) সবার দৃষ্টি কারে। আশেপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঘরের বেড়া, জ্বালানি, জাংলা, পানের বর, শিম চাষ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঐ এলাকায় যান পাঠকাঠি কিনতে। আবার অনেকেই পাটকাঠি পাইকারী দামে কিনে ভ্যান যোগে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে থাকে।
পাটচাষী আঃ আলিম জানায়, একজন শ্রমিক একদিনে ১০০ আটি পাট ছিলতে পারে, এই পাট মান ভেদে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হয়, অন্যদিকে ১ হাজার পাটকাঠি একই দামে অর্থাৎ ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। দূর-দূরান্তের মানুষ এই পাঠকাঠি নিয়ে যায়। পাট চাষীর কাছ থেকে পাট যেমন রূপালী আঁশ হিসেবে সমাদৃত একইভাবে রূপালী কাটি হিসেবে পাঠকাঠিও সমানভাবে সমাদৃত। পাটচাষী ইকরাম জানায়, প্রতিবছর এই এলাকায় পাটচাষীরা পাটের সাথে সাথে সমানভাবে পাঠকাঠি বিক্রয় করে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে।