আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ আটঘরিয়ায় নিরবে চলছে চাঁদাবাজি, কেউ মুখ খুলছে না কে বা কারা চাঁদাবাজি করছে। তবে চাঁদাবাজি হচ্ছে এ কথা অনেকেই বলছেন। এসব চাঁদাবাজি চলছে বিশেষ বিশেষ সরকারি অফিসে, কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে বিএনপি’র নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি জানান, আটঘরিয়া সাব রেজিস্টার অফিসের ঘটেছে মোটা অংকের টাকার চাঁদা ও তার ভাগ বাটোয়ার এবং এ নিয়ে দ্বন্দ্বও ঘটছে, অপরদিকে এর প্রতিবাদও হয়েছে। জানা গেছে চলতি নভেম্বর মাসে ওই অফিসে দলিল লেখকদের নিকট থেকে মোটা টাকা চাঁদা নেওয়া এবং ওই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি এখন টক অব দি উপজেলা। এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখানকার বিএনপি এবং জামাতের নেতাকর্মীরা ঐ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং কাউকে চাঁদা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
আটঘরিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে কে বা কারা চাঁদা চেয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করলেও ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদকের কাছে চাঁদাবাজি চলছে বলে স্বীকার করেন। একই চাঁদাবাজরা আটঘরিয়া খাদ্য গুদাম থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিবপুর আশরাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ টেন্ডার কালেও চাঁদা গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তবে এসব ক্ষেত্রে চাঁদা দিয়েছেন এখন একথা ব্যাপক জানাজানি হলেও চাঁদাবাজদের নাম কোনভাবেই কেউ বলতে নারাজ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় সব নেতাকর্মী নিভৃতে চলে গেছেন, প্রকাশ্যে আসা বন্ধ। অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মী ও জামাত নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে চাঁদাবাজি করছে কারা? প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলার কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে অনুসন্ধান ও পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ জরুরী বলে ভুক্তভোগীদের অভিমত।