আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি
পাবনার আটঘরিয়ায় ঘরবধুকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী মিনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে। তবে পরিবারের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম সাথে দেবোত্তর ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের আব্দুল হাই এর একমাত্র মেয়ে জান্নাতির বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে মিনারুল ইসলাম যৌতুকের জন্য স্ত্রী জান্নাতির ওপর অমানুষিক নির্যাতন করত। ঘটনার কয়েক দিন আগে মিনারুল তার স্ত্রী জান্নাতিকে তার বাবার বাড়ি থেকে অটোবোরাক কিনার জন্য আড়াই লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এসময় জান্নাতি বাবার বাড়ি থেকে অটোবোরাক কেনার আড়াই লাখ টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত ১৬ নভেম্বর বেলা ২ টার সময় যৌতুক লোভী স্বামী মিনারুল ইসলাম স্ত্রী জান্নাতিকে বেদম প্রহর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার মায়ের ঘরের মেঝোতে ফেলে রাখে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিনারুলের পিতা নজরুল ইসলাম মুঠো ফোনে মেয়ের বাবা আব্দুল হাইকে ফোনে খবর দেয় আপনার মেয়ে জান্নাতি কারেন্টে শট লেগে মারা গেছে। খবর পেয়ে মেয়ের বাবা সহ পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখে তার শাশুড়ীর ঘরের মেঝোতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
এরপর নিহতের পিতা আব্দুল হাই নজরুল ইসলামকে বারংবার জিজ্ঞাসা করেন আমার মেয়ে কি ভাবে মারা গেছে। সে জানান আপনার মেয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
পরে আতাইকুলা থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনা স্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেন।
ছাবিয়া খাতুন জানান, আমি গোসল করানোর সময় জান্নাতির গায়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করেন তিনি।
তবে নিহতের পিতা আব্দুল হাই জানান, জামাই আমার মেয়েকে অটোবোরাক কেনার জন্য আড়াই লাখ টাকা আনতে বলে আমার কাছ থেকে। মেয়ে এই টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় জামাইসহ পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে বেধরক মারপিট করে মেরে ফেলে। তবে
আমার মেয়েকে গোসল করানো সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত বা জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
নিহতের পরিবারের দাবি আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমার মেয়ের সঠিক বিচার চাই।
এঘটনায় আতাইকুলা থানা পুলিশ ঘটনার দিন নিহতের স্বামী মিনারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।