এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে বিদ্যালয়ের অফিস রুমেই মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন নামে এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) মো. শফিকুল ইসলাম(শফি সরদারের) বিরুদ্ধে। বর্তমানে গুরুতর আহত ওই নারী শিক্ষিকা সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে রবিবার ২৪ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে। আহত শিক্ষিকা উপজেলার চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের স্কুল শাখার সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক এবং সে উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের আন্ধাকোঠা গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ^াসের মেয়ে। আর অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম(শফি সরদার) একই বিদ্যালয়ের (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) বিষয়ের সহকারী শিক্ষক । সে উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবু জাফর সরদারের ছেলে। আহত শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমি অবিবাহিত হওয়ায় প্রায়ই বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করার পাশাপাশি আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলে থাকে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম । আমি এর প্রতিবাদ করায় এবং রবিবার এদিন সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আমার নির্ধারিত চেয়ারে শফিকুল বসে থাকায় আমি তাকে উঠে তার নির্ধারিত চেয়ারে বসতে বলায় প্রথমে আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ এবং পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষেই আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে শিক্ষক শফিকুল। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এর আইনগত কঠোর বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। সুজানগর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারজানা জানান, শিক্ষিকা মনোয়ারার মাথা আঘাতে ফেটে যাওয়ায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি উপজেলা শাখার সভাপতি মনসুর আলী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে একই বিদ্যালয়ের (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) বিষয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম(শফি সরদার) এর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।