এম এ আলিম রিপন ঃ ‘প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহন,নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে নানা আয়োজনে ৩২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রবিবার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালিটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাইফুল ইসলাম,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মর্জিনা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো.জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সকল ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। অতীতে অভিভাবকেরা তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে আড়াল করে রাখত। এখন কিন্তু সেই অবস্থাটা নেই। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিমাসে ভাতা দিচ্ছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরকেও ভাতা দিচ্ছে। একই সঙ্গে অটিজমের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে প্রতি বছর টাকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রতিবন্ধীরাও সমাজের অংশ এবং সমমর্যাদার নাগরিক। এই বোধটা সবার মধ্যেই থাকতে হবে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠি বোঝা নয়,তারা সমাজেরই অংশ। তাদেরকে পিছিয়ে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধীরা যেন সমাজের সাধারণ আর দশটা মানুষের মতোই সব নাগরিক সুবিধা নিয়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে,সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ এবং ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সমন্বিত উদ্যোগেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির সমঅধিকার নিশ্চিত হবে। এর ফলে সমাজে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠি যেমন উপকৃত হবে,তেমনই দেশ আরো অনেক এগিয়ে যাবে।