ঈশ্বরদী সংবাবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের সাথে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সংঘর্ষে নিহত তিন স্কুল ছাত্রের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে তিনি ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র নিহত ওই তিন বন্ধুর বাড়িতে যেয়ে বাবা-মা ও ভাই-বোনদের সান্ত্বনা দেন।
এসময় ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের
সুপারিনটেন্ড রফিকুল ইসলাম, দাশুড়িয়ার চেয়ারম্যান বকুল সরদার উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও এসময় পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা দানের আশ্বাস দেন।
প্রসংগত: সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটর সাইকেলে চেপে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটর সাইকেল তিন আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর দুই আরোহী সিয়াম সরদার (১৫) ও বিশাল হোসেনকে (১৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম সরদার সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মারা যান। এসময় বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশংকাজনক ছিল। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিউতে রাখা হয়েছিল। বুধবার (৮ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশাল হোসেন (১৫) মারা যায় ।