Related Articles
চলতি মৌসুমে পাবনায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও গ্রীষ্মের শুরুতে বড় আকারে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন বাগানে আঁটি জাতের লিচু সংগ্রহ, বেচাকেনা শুরু হয়েছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চায়না-২, চায়না-৩ বোম্বাই জাতের লিচু পাওয়া যাবে।
জানা যায়, ঈশ্বরদীর মিরকামারী, জয়নগর, জগন্নাথপুর, বকচারপুর, ছলিমপুর, শাহপুর, দিয়ার শাহপুর, আথাইলশিমুলসহ প্রায় ৩০টি গ্রামে বাগানগুলোতে আঁটি জাতের লিচু চাষ হয়েছে। লিচু আহরণ, বাছাই এবং প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সদর উপজেলার উগ্রগড়, জোয়ারদহ, হামিদপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম এবং চাটমোহর ও আটঘরিয়া উপজেলায় ভালো পরিমাণ লিচু আবাদ হয়েছে। ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর শিমুলতলায় প্রতিদিন সকালে বসছে বিশাল লিচুর হাট। জয়নগর শিমুলতলা ছাড়াও উপজেলার আওতাপাড়া, বাঁশেরবাদা, জয়নগর বোর্ডঘর, সাহাপুর ও দাশুড়িয়ায় পাইকারি লিচুর হাট বসছে। প্রতিদিন এসব হাট থেকে গড়ে ৬০-৭০ ট্রাক লিচু যাচ্ছে সারা দেশে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার লিচু বাগানগুলোর আয়তন ৪ হাজার ৭৩১ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু ঈশ্বরদীতেই ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। এসব বাগান থেকে ৪২ হাজার ৫৭৯ টন লিচু পাওয়া যেতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও গ্রীষ্মের শুরুতে বড় আকারে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থে একটি লিচু সংরক্ষণাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জোড়ালোভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।