ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার স্টেশনের পশ্চিমে অদূরে সংস্কারাধীন ২৫নং বাওনজান রেলব্রিজ এলাকায় সম্পতি প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে এ রেল পথে যায়াতাত কারি ট্রেনের যাত্রী সাধারণ । বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি রেলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষন করে জনৈক ট্রেন যাত্রী “আকাশ কুমার ” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার পর পরই বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন ভূক্তভোগীরা। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল পথের ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর ও দিলপাশার রেল স্টেশনের মাঝপথে রেলের ২৫ নং বাওনজান ব্রীজটি মেয়াদত্তীর্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় ছয়মাস পূর্ব থেকে মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। রেল পথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতাবেক এ পথে চলাচল কারি প্রতিটি ট্রেনই উল্লেখিত স্থানে যাত্রাবিরতি করে চলাচল করে আসছে। যাত্রাবিরতির সময় ট্রেনের দরজা-জানালার পাশে অবস্থান করা যাত্রীদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনসেট অথবা ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছে ছিনতাইকারীর দল।
২৮জুলাই আকাশ কুমার নামের এক জন ট্রেনযাত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছিনতাইয়ের বিষয়ে একটি পোস্ট করা হয়।মুহূর্তেই মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। তিনি তার কমেন্টস্-এ লেখেন,বাওজান ব্রিজটি মেরামতের কাজ চলায় ট্রেন যখন উল্লেখিত থামানো হয়; একাধিক লোক ছিনতাই হয়রানির শিকার হয়। গোলাম হাসনাইন রাসেল (ভাঙ্গুড়া, পৌর মেয়র) ভাই, আপনার কাছে অনুরোধ বিষয়টা দেখবেন। আমি নিজে কাছে থেকে দেখা, ঘটনার দিন (২৮জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে লালমনির হাট গ্রামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্লেখিত স্থানে থামার পর ১০ থেকে ১২ জনের এক দল লোক ব্যাগ, মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। আমি নিজে দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কি চলছে আমাদের বাওন জান ব্রিজে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে ,ঈশ্বরদী -ঢাকা রেলপথে ভাঙ্গুড়া উপজেলাধীন যে কয়েকটি বড় রেলসেতু আছে তার মধ্যে দিলপাশার ইউনিয়নের অন্তর্গত ১৮টি স্পীলারের বাওনজান রেলসেতুটি। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় ওই এলাকায় ট্রেন চলাচল করে ধীর গতিতে(গতিবেগ শূন্য থেকে ৮কিঃমিঃএর মধ্যে)। গত বছর সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু করে রেল বিভাগের নির্মাণ ঠিকাদার ।
এদিকে লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশন থেকে বাওনজান রেলসেতু পর্যন্ত উভয় পাশে খোলা ফসলি মাঠের মধ্যে হওয়ায় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে যাত্রীদের অনেকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় জানালার পাশে থাকা যাত্রীরা জানালা খুলে রাখে। এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা যাত্রীদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনসেট অথবা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা সেতুর পূর্ব অংশের স্টেশন উল্লাপাড়া অথবা পশ্চিম অংশের বড়ালব্রিজ স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পড়ে। ছিনতাই কারীর দল বাওনজান রেলসেতুর প্রান্তে ট্রেনের যাত্রা বিরতিতে যাত্রীদের ব্যাগ -মোবাইল নিয়ে ট্রেন থেকে মুহূর্তেই নেমে চম্পট দেয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, বিষয়টি রেলপথ থানা এলাকা হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি-র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ মৃধা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে তিনি ভাঙ্গুড়া থানার সঙ্গে কথাও বলেছেন।বাওনজান রেলব্রিজ স্পটে টইল পুলিশ বাড়ানো হবে, যেন এই ধরনের অপরাধ আর না ঘটে।
Check Also
চাটমোহরে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন
চাটমোহর প্রতিনিধি যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) পাবনার চাটমোহরে জাতির জনক …