আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ প্রচন্ড খরায় তাপদাহে আটঘরিয়া ও আশেপাশের এলাকার আম ও লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝড়ে পরায় চলতি বছর আম ও লিচুর সংকট দেখা দিবে। আটঘরিয়া ও আশেপাশের এলাকায় সর্বত্র প্রায় ৬০ ভাগ আম ও লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝড়ে পরেছে। এতে এ বছর আম ও লিচুর ফলন মরাত্বকভাবে হ্রাস পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। কোনোভাবেই গুটি ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছেন না তারা।
প্রথমত আম ও লিচু গাছে পর্যাপ্ত মুকুল দেখা দিলেও বিগত প্রায় ২/৩ সপ্তাহ অব্যাহত প্রচন্ড তাপদাহে এবং বৃষ্টির অভাবে মুকুল ঝড়ে পরা শুরু হয়, যাও গুটি আসে তাও বিগত ২ সপ্তাহ যাবৎ তাপতাহে ঝড়ে পরতে শুরু হয়। কিছু গাছে গুটি দেখা গেলেও গরম ও তাপদাহে তাও ঝড়ে পরছে। বর্তমানে মাত্র ৪০ ভাগ গুটি দেখা গেলেও এভাবে আর কিছু দিন তাপদাহ অব্যহত থাকলে তাও থাকবে না বলে আশংকা। ফলে এ বছর আম ও লিচুর ফলন মারাত্বক হ্রাস পাবে, ঘটবে মূল্য বৃদ্ধি। বর্তমানে পাবনার আটঘরিয়াসহ আশে পাশে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
চাঁদভা গ্রামের লিচু চাষি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, এবার যে পরিমাণ মুকুল এসেছিল আমরা খুব স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু তীব্র খরার কারণে লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকেরো বেশী লিচুর গুটি ঝরে পড়েছে। এমন চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে।
চাষিদের অভিযোগ, আম লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে পাচ্ছেন না তারা। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ ও গুটিতে পানির স্প্রে করলে ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।